কুড়িগ্রামে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেরিতে সূর্যের দেখা মিললেও ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডার কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ১২ জানুয়ারির পর থেকে শৈত্য প্রবাহ শুরু হতে পারে। জানুয়ারিতে দুইটি শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘন কুয়াশায় দিনের বেলাতেই হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন । এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন।
স্থানীয়রা জানান, জেলার নদ-নদীর অববাহিকার মানুষসহ চরাঞ্চলের মানুষ ভুগছেন তীব্র কষ্টে। অনান্যবার খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করলেও এবার খড়ের দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
কাঁচি চর এলাকার নারায়ণ মাঝি বলেন, তীব্র শীত ও ঠান্ডার কারণে মাছ ধরতে পানিতে নামতে পারছি না। মাছ ধরতে না পারলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
ভোগডাঙ্গা এলাকার দিনমজুর আয়নাল জানান, আজকে শীত বেশি পড়েছে। কাজের খোঁজে বেরিয়েছি। কিন্তু যে ঠান্ডা পড়েছে তাতে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়বে।
যাত্রাপুরের সবজি চাষী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সবজি নিয়ে বাজারে যাচ্ছি। ঠান্ডা বেশি হলে পাইকাররা সবজি কিনতে চান না। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডায় ক্রেতার আগমন কম হয়।
নদী বন্দর / এমকে