দেশের সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সিলেট অঞ্চল) নদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়ছে। এরইমধ্যে সুরমা নদীর পানি সিলেটের কানাইঘাট স্টেশনে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১৪ মে) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বাপাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিম-বঙ্গ প্রদেশের কতিপয় স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
‘দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং প্রধান নদীগুলোর (সুরমা, কুশিয়ারা, ভোগাই-কংস, ধনু-বাউলাই, মনু, খোয়াই নদীর) পানি সমতল কতিপয় পয়েন্টে সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।’
এতে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কয়েকটি স্থানে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ধারা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘সুরমা নদীর পানি সিলেটে একটি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় এরইমধ্যে সেখানে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। রোববার সুনামগঞ্জের কয়েকটি স্থানে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা সৃষ্টি করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে এখন দেশের বড় বড় নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে আর ভারি বৃষ্টি না হলে সিলেট ছাড়া অন্য কোথাও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই।’
নদী বন্দর/এসএম