অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য সুখবর! চালু হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত পদচারী সেতু। শুক্রবার (১৩ মে) থেকে পর্যটকদের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দিয়েছে মধ্য ইউরোপের দেশ চেক প্রজাতন্ত্র।
দুই পাহাড়ের মধ্যে সংযোগকারী সেতুটির উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১শ মিটারের বেশি। লম্বায় ৭২১ মিটার (২ হাজার ৩৬৫ ফুট), যার কারণে তার নাম হয়েছে স্কাই ব্রিজ ৭২১। পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী ডলনি মোরাভা এলাকায় নির্মিত সেতুটিতে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ থেকে সড়কপথে যেতে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টার মতো।
১ দশমিক ২ মিটার চওড়া সেতুটি সব বয়সের মানুষের জন্য উন্মুক্ত হলেও হুইলচেয়ার বা পুশচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ ১ হাজার ১২৫ মিটার উঁচু জায়গা থেকে সেতুটিতে প্রবেশ করে বের হতে হয় আরও প্রায় ১০ মিটার উঁচু থেকে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে আগাম অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে স্কাই ব্রিজে উঠেছিলেন অস্ট্রিয়ান ব্লগার ভিক্টোরিয়া ফেলনার। তিনি বলেছেন, বিশ্বের দীর্ঘতম পদচারী ঝুলন্ত সেতুতে প্রথমবার পা রাখার অভিজ্ঞতা তাকে ‘অস্বস্তিকর অনুভূতি’ দিচ্ছিল। তবে ধীরে ধীরে সব ভয় কেটে যায়।
ভিক্টোরিয়ার কথায়, আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে, সেতুটি খুব নড়বে। তবে এটি অতটা খারাপ ছিল না। দৃশ্যগুলো সত্যিই মনোরম এবং আপনি নিচের জঙ্গলও দেখতে পারবেন! ভাগ্যক্রমে আমি উচ্চতায় ভয় পাই না।
মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে নির্মিত সেতুর ছবি ও ভিডিও এরই মধ্যে ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। চাইলে আপনিও যেতে পারেন। তবে তার জন্য ডলনি মোরাভার ওয়েবসাইটে ঢুকে আগাম টিকিট বুকিং করতে হবে। এতে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য খরচ পড়বে জনপ্রতি ৩৫০ চেক কোরুনা, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২৭৫ টাকা।
চেক প্রজাতন্ত্রের ঝুলন্ত সেতুটি বর্তমান গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী নেপালের বাগলুং পর্বত পদচারীর সেতুর চেয়ে লম্বায় ১৫৪ মিটার বেশি। মজার বিষয় হচ্ছে, সুউচ্চ এই সেতুটি তৈরিতে সময় লেগেছে মাত্র দুই বছর। এর পেছনে খরচ হয়েছে ২০ কোটি কোরুনা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো।
সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স
নদী বন্দর/এসএম