1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌপথ খননে চুক্তি - Nadibandar.com
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৪ মে, ২০২২
  • ৫৯২ বার পঠিত

চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌ-রুটের সক্ষমতা বাড়াতে নৌপথ খননের জন্য চুক্তিপত্র সই হয়েছে।

শনিবার (১৪ মে) ঢাকার হোটেল রেডিসনে প্রকল্প পরিচালক বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আইউব আলী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বঙ্গ ড্রেজার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. আইনুল ইসলাম চুক্তিতে সই করেন। এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সক্ষমতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণে এ চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

চুক্তি অনুযায়ী, ১৩টি নৌরুটের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ খনন কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠান এবং ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠান। এজন্য ব্যয় হবে ৪৩০ কোটি টাকা।

প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন, ৬টি স্থানে নৌযানের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ৩টি ফেরি ক্রসিং এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং, ৪টি প্যাসেঞ্জার ও ২টি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন, ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং দুটি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরের আশুগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে মূল নদী ও শাখা (প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ) পারফরম্যান্স বেইজড কন্ট্রাক্ট ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ এবং নাব্যতা সংরক্ষণ করা হবে।

এ নৌ-করিডোরে নৌযান আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত স্থানগুলো হচ্ছে- ষাটনল, চরভৈরবী, চাঁদপুর, মেহেন্দীগঞ্জ, সন্দ্বীপ এবং নলচিরা। চাঁদপুর-শরিয়তপুর, লক্ষীপুর-ভোলা এবং ভেদুরিয়া-লাহারহাট নৌরুটের ফেরি ক্রসিং এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং; ঢাকা শ্মশানঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর এবং বরিশালে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন এবং পানগাঁও ও আশুগঞ্জে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হবে।

এছাড়া ভৈরব বাজার, আলু বাজার, হরিণা, হিজলা, মজুচৌধুরী, ইলিশা, ভেদুরিয়া, লাহারহাট, বদ্দারহাট, দৌলতখাঁ, চেয়ারম্যানঘাট (চর বাটা), সন্দ্বীপ, তজুমদ্দিন, মনপুরা এবং তমুরুদ্দিনে ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং ২টি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমাতে দেশের নৌপথের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে সরকার। স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে থমকে দেওয়া হয়েছিল। পঁচাত্তর পরবর্তী সরকার দেশের নৌপথসহ কোনো পথেই উন্নয়ন করেনি। এরপর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের নৌপথ পুনরায় উদ্ধার ও উন্নয়নে হাত দেন।’

তিনি বলেন, ‘আজ যে দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের নৌপথের যে অগ্রগতি হবে তাতে দেশের নৌপথ ব্যবহারকারী পণ্যবাহী যান ও যাত্রীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।’

চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌ-করিডোর এবং নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল এর বর্ধিতাংশ অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার রুট বা নৌপথ হিসেবে চিহ্নিত। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ নৌযান এ করিডোরের মধ্য দিয়ে চলাচল করে এবং দৈনিক প্রায় ২ লাখ যাত্রী এ সব নৌপথ ব্যবহার করে।

প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের ব্যয় ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এরমধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ৫২ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) ২৯৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বিআইডব্লিউটিএ।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।

নদী বন্দর/এসএম

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com