প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটননগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর কক্সবাজারের সঙ্গে বৈশ্বিক যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষা করে পর্যটনশিল্পের বিকাশ করতে হবে। দ্বীপাঞ্চলগুলোর পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যও রক্ষা করতে হবে।
আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) আইকনিক ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আষাঢ় মাসে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের উপকূলজুড়ে ঝাউগাছ রোপণ করে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝাউগাছ সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি করবে, পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রক্ষাকবচের ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রধান পর্যটননগরী কক্সবাজারে শৈশবের স্মৃতিচারণা করে বলেন, সেই ১৯৬১ সাল থেকে আমাদের কক্সবাজার যাওয়া-আসা। বাবা কারাগার থেকে বের হলেই আমরা কক্সবাজার ঘুরতে যেতাম। কক্সবাজার সৈকতের লাল কাঁকড়াগুলো সাংঘাতিক চালাক। কত যে চেষ্টা করতাম ধরার জন্য, কিন্তু কোন সময়ে গর্তে ঢুকে যেত টেরই পেতাম না।
মহেশখালীর মেগাপ্রকল্প ও রেললাইন কক্সবাজারের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত ব্যক্ত করে সরকার প্রধান বলেন, সমুদ্রসীমা বিজয় সুনীল অর্থনীতির বিকাশের জন্য মাইলফলক। এর সঠিক ব্যবহার করার আহ্বান জানান তিনি।
কক্সবাজার শহরের বাহারছড়াস্থ মুক্তিযোদ্ধা গোলচত্বর মাঠে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, সচিব মো. শহীদুল্লা খন্দকার ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমেদ বক্তব্য দেন।
নদী বন্দর/এমকে