রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর মতো খুলনার রূপসা ও ভৈরব নদীর দুই পাড়ের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে যাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ খুলনা। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে সমীক্ষা। প্রথম দফায় নদীর পশ্চিম পাড়ে যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
সম্প্রতি নদীর গিলাতলা এলাকা থেকে লবণচরা এলাকা পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়েছে এক হাজার ২৭৪টি অবৈধ স্থাপনা। প্রভাব খাটিয়ে একশ্রেণির মানুষ নদীর দুই পাড়ে গড়ে তুলেছে বসতবাড়ি, গ্যাংওয়ে, ডক ইয়ার্ডসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। পরিকল্পনা অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর নদীর দুই পাড়ে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং সবুজ বনায়ন করা হবে বলে জানান বন্দর কর্মকর্তা। এ জন্য জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
খুলনা বিআইডব্লিউটিএ বন্দর কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমরা খুব দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আমরা বাজেটও পেয়েছি। জেলা প্রশাসক আমাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেট দিলেই আমরা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করব।
খুলনা জেলা প্রশাসক জানান, নদীর দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। কার্যক্রম শেষ হলে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, যাচাই-বাছাই করে উচ্ছেদ মামলা রুজু করে আমরা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করব। যদি অবৈধ দখলদার হয় সেগুলো উচ্ছেদ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সরকার যে নির্দেশনা দেবে সেভাবেই আমরা কাজ করব।
অন্যদিকে উন্নত দেশগুলোর মতো রূপসা ও ভৈরব নদীর তীরের দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পর্যটনবান্ধব করার জোর দাবি নাগরিক নেতাদের।
খুলনা মহানগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রূপসা ও ভৈরব নদীর ৩৩ কিলোমিটার তীরজুড়ে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে বলে বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়।
নদী বন্দর / পিকে