২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৭২৯ জন নিহত ও ৪৩৩ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পরিবহন খাতে সবচেয়ে বেশি ৩৪৮ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আর মৎস্য খাতে সবচেয়ে বেশি ৬৮ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) ডেপুটি ডিরেক্টর ইউসুফ আল মামুন এ তথ্য উপস্থাপন করেন। এসব তথ্য সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিলস’র তথ্য অনুযায়ী, নির্মাণ খাতে ৮৪ জন, কৃষি খাতে ৬৭ জন, বিদ্যুৎ খাতে ৩৫ জন, মৎস্য খাতে ২৭ জন, দিনমজুর ৪৯ জন, স্টিল মিল শ্রমিক ১৫ জন, নৌ-পরিবহন শ্রমিক ১৫ জন, মেকানিক ১৪ জন, অভিবাসী শ্রমিক ১৫ জন ও অন্যান্য খাতে ৬০ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আর ২০১৯ সালে কর্মক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২০০ জন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০ সালে বিভিন্ন সেক্টরে সবমিলিয়ে ৫৯৩টি শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনা ঘটে। পোশাক খাতে সবচেয়ে বেশি ২৬৪টি আন্দোলন হয়। আর সংঘটিত আন্দোলনে ৯৯ জন শ্রমিক আহত হন।
সংবাদপত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে সংগঠনটি জানিয়েছে, করোনা সঙ্কটে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পেশা বদলাচ্ছে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণায় প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে এবং ছয়টি চিনিকল বন্ধ ঘোষণার কারণে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বিলস’র ভাইস চেয়ারম্যান শিরীণ আখতার এমপি বলেন, আমরা গবেষণাসহ শ্রমিক অধিকার রক্ষায় রাস্তায় কাজ করছি। আমরা সংঘবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে কাজ করলে শ্রমিকদের অধিকার আরও বেশি নিশ্চিত হবে বলে আশা করা যায়। এখানে যে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে তাতে করে আমরা শ্রমিকদের অবস্থা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক কেমন জানতে পারছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি সেক্টরে অসন্তোষ রয়েছে। এজন্য শ্রমিক অধিকার নিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। শ্রমিকদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ তাদেরকে শ্রম আইনের আওতায় আনতে হবে এবং জাতীয় ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে।
বিলস’র সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিলস’র ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল আমিন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য নইমুল আহসান জুয়েল, সদস্য শাকিল আখতার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও লেবার রাইটস জার্নালিস্ট’র সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বক্তব্য দেন।
নদী বন্দর / জিকে