গত দু’দিন সারাদেশেই কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সে প্রবণতা কিছুটা কমলেও দেশের সব বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি তাপমাত্রা আগের চেয়ে বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে। রবিবার (২২ মে) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (২৩ মে) সকাল পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরণের ভারী (২২-৪৩ মিলিমিটার) থেকে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় (১০-১৫) কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে।
মঙ্গলবার নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে কোথাও অতিভারী বর্ষণের আভাস নেই। এছাড়া নেই ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের শঙ্কাও। নদীবন্দরে যে হুঁশিয়ারি সংকেত ছিল, তাও নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
রোববার দুপুর ১২টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সীতাকুণ্ডে, ৬৩ মিলিমিটার; ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সাতক্ষীরায়, ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানিয়েছেন, উত্তরপশ্চিম থাইল্যান্ড ও তৎসংলগ্ন মায়ানমার এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল ও গুরত্বহীন হয়ে পড়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিরাজমান রয়েছে।
নদী বন্দর/এসএন