1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সমুদ্র গবেষণা বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর - Nadibandar.com
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২২ মে, ২০২২
  • ৮১ বার পঠিত

মৎস্য ও খনিজ সম্পদসহ সমুদ্রে থাকা সব সম্পদ কাজে লাগাতে সমুদ্র গবেষণা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২২ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলের প্রথম সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি আমাদের ডেল্টা প্ল্যানের সঙ্গে আজকের যে বিশাল সমুদ্ররাশি আমরা পেয়েছি, এই সম্পদটা আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা ব্লু ইকোনমি ঘোষণা দিয়েছি। অর্থাৎ সুনীল অর্থনীতি, সমুদ্রসম্পদকে আমাদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো। কিছু কিছু কাজ কিন্তু শুরু হয়েছে খুব সীমিত আকারে।

সমুদ্রসম্পদ কাজে লাগাতে একটি পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, সমুদ্রসম্পদ নিয়ে আমাদের একটা পরিকল্পনা থাকা উচিত। সেখানে আমরা কতটুকু কী কী করতে পারি। সেখানে আমরা তেল-গ্যাস উত্তোলন অর্থাৎ সামুদ্রিক যে সম্পদ, যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে, খাদ্য নিরাপত্তায় কাজে লাগতে পারে বিভিন্ন ভাবে, বিশাল মৎস্য ভান্ডার এখানে।

তিনি বলেন, এই সম্পদ আমরা হেলায় হারাতে পারি না। এটা অর্থনৈতিক অঙ্গনে কীভাবে কাজে লাগাবো এটা আমাদের দেখা দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, আরেকটি বিষয় হলো বঙ্গোপসাগরের সবচেয়ে গুরুত্বটা হলো যে আদিকাল থেকে এখান দিয়ে সারা বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য চলে। দুই পাশে দুটো মহাসাগর। এক মহাসাগর থেকে আরেকটায় যেতে গেলে এই বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়েই কিন্তু চলাচল হয়। সেদিক থেকে বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব কিন্তু অনেক বেশি। কাজেই এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ আমরা কীভাবে আমাদের অর্থনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে পারি সেটাও আমাদের চিন্তা করতে হবে।

মৎস্য সম্পদ, খনিজ সম্পদসহ সমুদ্র গবেষণা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গোপসাগরকে দূষণ মুক্ত রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন দূষণ তো সব দেশেই। সাউথ সি-তে এমন অবস্থা যে সেখানে পানি পাওয়া যায় না। শুধু তেলের ফ্যানা, আমি নিজে সেখানে গিয়ে দেখে এসেছি। হাতে তুলেও নিয়েছিলাম। নেদারল্যান্ডসে থাকতে আমি গিয়েছিলাম। কাজেই আমাদের উপমহাদেশে যেন আমাদের বঙ্গোপোসাগর যেন সে রকম দূষণ না হয় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। এটা যেমন পলিউশন মুক্ত রাখতে হবে। পাশাপাশি এই সম্পদটা আমরা কীভাবে কাজে লাগাবো সেটাও আমাদের চিন্তা করতে হবে।

দেশের নদীগুলোকেও দূষণ থেকে রক্ষা করার নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।

যত্রতত্র শিল্প কারখানা যেন না হয় সেজন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি। এক্ষেত্রে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নদী-খালগুলো সচল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সরকার প্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে আমাদের নদীমাতৃক বাংলাদেশ। নদীগুলো হচ্ছে একটা মানুষের শরীরে যেমন শিরা-উপশিরা, ঠিক নদীগুলোও আমাদের দেশের জন্য শিরা-উপশিরা।

আগে এ অঞ্চলের নদীগুলো সচল রাখতে নিয়মিত ড্রেজিং হতো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট বেলায় বাবার কাছে গল্প শুনতাম আমাদের দেশে আগে নিয়মিত ড্রেজিং হতো। ড্রেজারগুলো থাকতো আসামে। সেগুলো নেমে নিচে চলে আসতো এবং নদী কেটে সেগুলো আবার সেখানে থাকতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেই ড্রেজারগুলো গানবোট হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। তারপর থেকে আর কোন নদী ড্রেজিং হয়নি।

নদীর নাব্য ধরে রাখার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে সেগুলোর নাব্যতা বাড়ানো। পাশাপাশি প্রতিবছর সেগুলো রক্ষণ করার জন্য ড্রেজিং এবং নদীগুলো যেন মরে না যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া। বদ্বীপটাকে রক্ষা করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা উন্নত জীবন দেওয়া। এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার।

ডেল্টা প্ল্যান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ডেল্টা প্ল্যান করার লক্ষ্যটা হলো- আমাদের ভবিষ্যৎ করণীয়, সেটা আমরা সুনির্দিষ্ট করে ফেলেছি। কাজেই ২০২০ এর মধ্যে আমাদের রূপকল্প বাস্তবায়ন করে ২১ সালে এসে সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করেছি। পরিকল্পনা আরেকটা নিয়েছি ২১ থেকে ৪১ পর্যন্ত, আমাদের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা হচ্ছে এটি একটি কাঠামো। এই কাঠামোর ওপর ভিত্তি করেই আমাদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। তার পাশাপাশি, আমরা এখানে বসে থাকিনি। ২১০০ সালের বাংলাদেশ, সেটা মাথায় রেখে এই যে আমাদের ডেল্টা প্ল্যান।

জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। কারণ আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে, প্রকৃতির কোনো ক্ষতি আমরা হতে দেই না। কিন্তু উন্নত দেশগুলো ক্ষতি করছে। তার প্রভাবে জলবায়ুর ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু এর আঘাতটা বাংলাদেশের ওপর আসবে।

অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

নদী বন্দর/এআরকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com