তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা সব মানুষের জন্য পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। যারা এটা নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাদের সাঁতরেই নদী পার হওয়া উচিত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী আয়োজন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জনগণের প্রত্যাশার কথাটা কিছুটা হলেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে উঠে এসেছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জনতা মনে করে, যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্র করেছিলেন যে এটি হওয়ার নয়, আওয়ামী লীগ সরকার এটি করতে পারবে না বলে আস্ফালন করেছিলেন, তাদের আসলে এভাবেই পার হওয়া উচিত। ‘
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণ আগে ফেসবুকে দেখলাম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা সাঁতরে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন। তরুণ ছেলে-মেয়েরা তো অনেক ইনোভেটিভ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অবারিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে জন্য সেখানে তারা নানা ধরনের মতামত দিচ্ছেন, মন্তব্য করছেন। আমি গত রাতেও দেখেছি, আজকে সকালেও দেখলাম। পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ খালেদা জিয়াসহ তারা সাঁতরে পার হচ্ছেন। ‘
এ সময় তিনি বলেন, ‘এক এক করে ২৭ বছর কেটে গেছে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হলেও প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পরও ঐক্য ধরে রেখেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। আমি রাজনৈতিক কর্মী, তার পরও চাই আগামী ৫০ বছর ডিআরইউয়ের এই ঐক্য বজায় থাকুক। ‘
তিনি বলেন, রিপোর্টারদের সংগঠন হচ্ছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। কোনো গণমাধ্যমের প্রাণ হচ্ছে রিপোর্টাররা। রিপোর্টাররা যদি সঠিক সংবাদ সংগ্রহ না করেন, তাহলে সেটি সঠিকভাবে এডিট করার তো প্রশ্নই আসে না। সুতরাং রিপোর্টার মাঠে-ময়দানে এবং তৃতীয় নয়ন দিয়ে দেখে রিপোর্ট সংগ্রহ করেন। সেই রিপোর্ট কাগজে, টেলিভিশন-রেডিও, অনলাইনে প্রকাশিত হয়। অনেক রিপোর্টার অত্যন্ত মেধাবী।
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদ নুরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি শারমীন রিনভী প্রমুখ।
নদী বন্দর/এসএফ