গত কয়েক দিনের মতো বুধবারও দেশের ৬ বিভাগে ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। সারা দেশের মধ্যে উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা কম।
পশ্চিমের লঘুচাপের প্রভাবে দেশের মধ্যে বজ্র মেঘ তৈরি হচ্ছে, এই মেঘের প্রভাবে দেশের মধ্যে এখন ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা এরই মধ্যে দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। জুনের মাঝামাঝি সময়ে সারা দেশে বর্ষা বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে চেয়ে বেশি ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে। সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে রংপুরে। বিভাগের মধ্যে শুধু রাজারহাটে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা রয়েছে। সকাল থেকে রাজধানীর নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, কল্যাণপুর, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সাথে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এসময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এটি আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নদী বন্দর/এমকে