তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী ও অছাত্রদের সমাবেশ ঘটিয়ে ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার’ শ্লোগান দিয়ে প্রমাণ করেছে যে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড জিয়াউর রহমান ঘটিয়েছে এবং বিএনপি সেটি স্বীকার করে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী যুব মহিলা লীগ আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে’ বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে দেশের নিজস্ব টাকায় যখন পদ্মা সেতু হয়েছে তখন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও তাদের সমালোচনায় ভরে গেছে, লজ্জায় তাদের মাথা হেঁট হয়েছে। একারণে তারা সমগ্র বাংলাদেশে ভিন্ন রকমের একটা পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে মানুষের মধ্যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যে আনন্দ উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে তা নষ্ট করা যায়। ’
এ সময় ‘যুব মহিলা লীগের মেয়েরাই বিএনপি-জামাতকে প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে সমগ্র বাংলাদেশে আবার ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টাকারী এই বিএনপি-জামাতের অপশক্তিকে আমাদের প্রতিহত করতে হবে। এদেশের আপামর গণমানুষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে আছে এবং থাকবে। ’
সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘এই বাংলাদেশে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলো সেই বিএনপি-জামাত আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ওরা লাশ চায়, ওরা লাশের রাজনীতি করে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, ওদের রুখতে হবে। ’
এর পরপরই মন্ত্রী সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও বার্ষিক উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মকবুল হোসেনের পরিচালনায় অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ, খাদিজা বেগমসহ কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় অংশ নেন।
নদী বন্দর/এসএফ