গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তিনদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে আছে- ৯ জুন ঢাকাসহ সকল মহানগরে এবং ১১ জুন জেলা সদরে বিক্ষোভ এবং ১৩ জুন উপজেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি।
গত ৫ জুন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) পাইপলাইনে সরবরাহ করা প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের পাইকারি দাম ৯টা ৭০ পয়সা থেকে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়িয়ে ১১ টাকা ৯১ পয়সা করেছে, যা চলতি জুন মাস থেকেই কার্য্কর হবে।
খুচরা পর্যায়ে সেই মূল্য সমন্বয় করে যানবাহনে ব্যবহারের সিএনজি বাদে সব পর্যায়েই গ্যাসের জন্য খরচ বাড়বে। রান্নার গ্যাসের জন্য দুই চুলার মাসিক বিল ৯৭৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৮০ টাকা এবং এক চুলার মাসিক বিল ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং মূল্য হ্রাসের দাবিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দলের সকল অঙ্গসংগঠনসমূহও এই কর্মসূচি পালন করবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি যখন জন-জীবন চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে সেই সময় গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে আঘাত করল। রান্নার জন্য ব্যবহৃত চুলার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, সার কারখানার ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতকেন্দ্রে সরবরাহকৃত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, সেই সঙ্গে প্রতি ঘন মিটার ১০ পয়সা ডিমান্ড চার্জ সংযুক্ত করা একদিকে মানুষের দৈনিন্দন জীবনের ব্যয় বৃদ্ধি করবে; অন্যদিকে কৃষি, শিল্প ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য আরো বৃদ্ধি পাবে। কোনো মতেই জনগণের পক্ষে এই ব্যয় ভার বহন করা সম্ভব হবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটি অবিলম্বে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের মূল্যে ফিরে যাওয়ার দাবি করছে। ’
নদী বন্দর/এসএফ