ইউক্রেন থেকে একটি সম্ভাব্য শস্য রপ্তানি করিডোর চালুর বিষয়ে আলোচনা করেছেন রাশিয়া ও তুর্কিয়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। একই সঙ্গে উত্তর সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা। তুর্কিয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আঙ্কারা ও মস্কো তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
ন্যাটো সদস্য তুর্কিয়ে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে একটি সমুদ্র করিডোর চালু করা ও তাদের যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে। দেশটি কিয়েভকে সমর্থন করে এবং মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
মঙ্গলবার (৭ জুন) তার্কিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু শস্য, সূর্যমুখী তেল ও অন্যান্য কৃষি পণ্যের নিরাপদ চালানের বিষয়ে যে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন।
ইউক্রেনীয় শস্য চালান ও সিরিয়ার জন্য একটি নিরাপদ করিডোর খোলার জন্য জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনার জন্য আঙ্কারায় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের সময় এ বিষয়টি জানানো হলো।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম শস্য রপ্তানিকারক ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দর। রাশিয়ার নৌবাহিনী আক্রমণের পর থেকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এসব বন্দর। যেখানে প্রায় ২ কোটি টন শস্য আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওডেসার মতো বন্দর থেকে ইউক্রেনের শস্য পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ একটি চুক্তি করার চেষ্টা করছে। তবে রাশিয়া বলছে যে তারা বন্দর অবরোধ শেষ করার চুক্তির অংশ হিসাবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায়।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ গড়িয়েছে চতুর্থ মাসে। এখনো যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। এদিকে, দেশ দুটির চলমান যুদ্ধ ও রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক সরবরাহ শৃঙ্খল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানির ওপর নির্ভরশীল দেশগুলো।
সূত্র: আল-জাজিরা
নদী বন্দর/এসএফ