সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ মো. মাসুদ রানা (৩৭) নামে একজন মারা গেছেন। বুধবার (৮ জুন) ভোর ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৪ জনে।
সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহত মাসুদ রানা জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার গোপীনাথপুর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি বিএম কনটেইনার ডিপোতে আরএসটি অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তার মরদেহ চমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হালনাগাদ তথ্যমতে, এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৩০ জন । এর মধ্যে পুলিশের ১০ ও ফায়ার সার্ভিসের ১৫ কর্মী রয়েছেন।
শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১২টার পর থেকে মৃতের খবর আসতে থাকে। সময় যত গড়াতে থাকে, মৃতের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে।
তবে ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ঘটনার পর এ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন প্রতিষ্ঠান চার রকম তথ্য দেয়। রোববার (৫ জুন) রাতে দেওয়া তথ্য পরদিন সকালে সংশোধন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
রোববার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী জানান, মৃতের সংখ্যা ৪৯ জন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানান, মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। এরও পরে, রাত ৯টায় জেলা প্রশাসনের নোটিশ বোর্ডেও জানানো হয় মৃতের সংখ্যা ৪৬।
কিন্তু সোমবার (৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, মৃতের সংখ্যা ৪১ জন।
তবে এর আগেই সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন নোটিশ বোর্ড সংশোধন করে মৃতের সংখ্যা ৪১ জন বলে জানায়।
এদিকে এ দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৩ জনে। এছাড়া চমেকে আজ দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৪ জনে।
নদী বন্দর/এসএফ