1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
প্লাস্টিক ‌‘দূষণ প্রকল্পে’ বিনিয়োগ করছে ব্যাংক - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৮ অপরাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৩৪৩ বার পঠিত

প্লাস্টিকের কবলে পড়ে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্বের পরিবেশ। তবুও পরিবেশ বিধ্বংসী প্রকল্পে ৪০টি কোম্পানিকে ৫ বছরের জন্য ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে বিভিন্ন ব্যাংক। এই অর্থের পুরোটাই দেওয়া হবে প্লাস্টিক উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে। অথচ বিশ্বের নদী ও সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ রুখতে নেই কোনো নির্দেশনা।

ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বা ঋণ দিচ্ছে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক এ প্রকল্পগুলো আরো বাড়াচ্ছে পরিবেশ দূষণ। কিন্তু প্লাস্টিক দূষণ কমানো কিংবা পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করার মতো কোনো প্রকল্পে অর্থায়ন বা ঋণ নেই ব্যাংকগুলোর।

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে এসব তথ্য। ভিভিড ইকোনমিসের পরিচালক আর প্রতিবেদনের পরামর্শক রবিন স্মেল বলেন, আর্থিক খাতের এখনো এমন কাউকে প্রয়োজন, যে প্লাস্টিক দূষণ রোধে কাজ করার মানসিকতা রাখে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক অব আমেরিকান করপোরেশন, সিটি গ্রুপ এবং জেপি মরগান ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক বাণিজ্যে অর্থায়ন করেছে।

তিনটি ব্যাংক ১৪ হাজার ৪০০ থেকে ১৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ দিয়েছে বিভিন্ন কোম্পানিকে কেমিকেল প্রস্তুতে, পণ্য প্যাকেটজাতকরণে আর কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর বোতল তৈরি করার ক্ষেত্রে। ইউরোপের বারক্লেস আর এইচএসবিসি ব্যাংক প্লাস্টিক পণ্যে অর্থায়ন করেছে ১১ হাজার ৮০০ এবং ৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। তবে এ বিষয়ে কোনো ব্যাংকই সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলতে সম্মত হয়নি।

অস্ট্রেলিয়ার সায়েন্স এজেন্সির এক গবেষণায় দেখা গেছে, সমুদ্রের নিচে অন্তত ১ কোটি ৪০ লাখ টন মাইক্রো প্লাস্টিক বর্জ্য আছে। সংস্থাটির গবেষণা বলছে, সমুদ্রের নিচে ছোট ছোট প্লাস্টিকের কণা সমুদ্রে ভাসমান প্লাস্টিকের চেয়ে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে যতোই পদক্ষেপ নেওয়া হোক না কেন, সমুদ্রে প্রতি বছর লাখ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পড়ছে।

হুমকির মুখে পড়ছে সাসুদ্রিক প্রাণির জীবন ও পরিবেশ। সেই প্রভাব ঘুরে ফিরে আসছে মানুষের খাদ্যচক্রেও। তাই প্লাস্টিক দূষণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে সমুদ্রের বাস্তুসংস্থান, বন্যপ্রাণীর ওপর। স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে মানুষের। প্লাস্টিক পণ্য তৈরিতে কাজ যারা করেন কিংবা যারা ব্যবহার করেন, তাদেরও আছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

একটি চালের দানার সমান হয় একটি মাইক্রো প্লাস্টিকের টুকরার আকার। মাত্র ৫ মিলিমিটার। তাই সামুদ্রিক প্রাণীরা খাবারের সঙ্গে এগুলোও অজান্তেই খেয়ে ফেলে। এই প্লাস্টিকের টুকরোগুলো আসে প্রসাধনী, টুথপেস্ট আর গুঁড়া সাবান থেকে। খুব দ্রুতই প্লাস্টিক দূষণের লাগাম টানতে বিশ্বের নীতিনির্ধারকদের আহ্বান জানান বিজ্ঞানীরা। শুরুতেই একবার ব্যবহার করা যায়, এমন প্লাস্টিক পণ্য করতে হবে। সরকার, শিল্পকারখানা মালিকসহ সব শ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে প্লাস্টিক দূষণ রোধে কাজ করতে।

নদী বন্দর / এমকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com