ইন্দোনেশিয়ায় প্রবল বর্ষণের কারণে দুটি ভূমিধসে অন্তত ১১ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছেন। দেশটির পশ্চিম জাভা প্রদেশে শনিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরার।
রোববার ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বোর্ডের মুখপাত্র রাদিত্য জাতি এক বিবৃতিতে জানান, রাজধানী জার্কাতা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে পশ্চিম জাভার কিহানজুয়াং গ্রামে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে দুটি ভূমিধস হয়।
তিনি বলেন, ‘প্রথম ভূমিধসটি প্রবল বর্ষণ ও আলগা মাটির কারণে ঘটেছে। এর পরের ভূমিধসটি যখন ঘটে তখন উদ্ধারকারীরা প্রথম ভূমিধসের এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছিলেন।’ সারাদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হতে পারে জানান তিনি।
ব্যানডাং উদ্ধার সংস্থার মুখপাত্র সেনি উলান্দারি এএফপিকে বলেন, ‘প্রথম ভূমিধসে অনেকে যোগ দিয়েছিলেন, তাই দ্বিতীয় ভূমিধসের পর কতজন নিখোঁজ হয়েছেন তা আমরা এখনো তালিকা করছি।’
ভূমিধসের কারণে রাস্তা ও ব্রিজ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে ভারী যন্ত্র নিয়ে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে।
গত অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, লা নিনা আবহাওয়ার কারণে প্রবল বর্ষণ হতে পারে; ফলে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে। বর্ষাকালে ঘন ঘন প্রবল বর্ষণের ফলে ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপগুলোতে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা প্রায়ই হয়।
কয়েক মাস আগেই গত বছর সেপ্টেম্বরে বর্নেও দ্বীপের সুলাওয়েসিতে ভূমিধসে ১১ জন নিহত হয়েছিলেন। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থার মতে, দেশটির সাড়ে ১২ কোটি জনগণ ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে