উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারে ভোলা সংলগ্ন মেঘনা আর তেতুলিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দ্বীপ জেলা ভোলার বেড়ি বধের বাইরের নিম্নাঞ্চল ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে। এতে এখানকার অনেক স্থানে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
দুপুর থেকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষ। তবে এ পর্যন্ত কোথাও কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, পূর্ণিমার প্রভাব এবং বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টর ফলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে উপকূলের বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা। জোয়ারের পানিতে বাঁধের বাইরের অন্তত ২০টি নিচু এলাকা ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষ। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এই এলাকায় বসবাসরত মানুষ।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-১ এর প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, উজানের পানির চাপে ও মেঘনার পানি বিপৎসীমায় উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুপুরে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আরও কিছুদিন এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে বলেও তিনি জানান।
ভোলার মেঘনার তীরবর্তী সদরের নাছির মাঝি, রাজাপুর, মনপুরার চরনিজাম, কলাতলীর চর, চরযতিন, চরজ্ঞান, চরফ্যাশনের কুকরিমুকরি, ঢালচর, চরপাতিলা, মাঝেরচর, চরশাহজালাল, কচুয়াখালীর চরসহ ২০ চর প্লাবিত হয়েছে।
ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলী হোসেন, ও কালাম মাঝি এলাকার বাসিন্দা গনী মিয়া জানান, বর্ষা এলেই আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। বর্ষায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে কাঁচা রাস্তাঘাট ডুবে যায়।
চরফ্যাশনের কুকরিমুকরি ইউপি চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন জানান, পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারে কুকরি মুকরি ঢালচরসহ এখানকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং পানিবন্দি রয়েছেন এখানকার অনেক মানুষ।
নদী বন্দর/এসএফ