দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২০ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র বলছে, দেশের বন্যা পরিস্থিতি, পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও সীতাকুণ্ডসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসবে।
আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশ করে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন নামফলক উন্মোচন করে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হবেন তিনি।
এরপর অন্য প্রান্তেও নামফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেলে মাদারীপুর শিবচরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি সভা, দক্ষিণাঞ্চলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা এবং মঞ্চস্থল পরিদর্শনসহ নানান কাজ করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। পাশাপাশি মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশ সফল করতে সব আয়োজন করছে সেতু বিভাগ।
এদিকে দেশের ১১টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। এর মধ্যে বন্যাপরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সিলেট অঞ্চলে। সোমবার সকালে ৯টি নদ-নদীর পানি ১৯টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
গত ৪ জুন (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ১২টার পর থেকে আসতে থাকে মৃত্যু খবর। সময় যত গড়াতে থাকে, মৃতের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে।
দুর্ঘটনায় আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা-শিশু হাসপাতাল, পার্কভিউ হসপিটালসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটেও ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেও অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন।
ওই দুর্ঘটনায় সবশেষ ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নদী বন্দর/এসএফ