বর্তমানে আমাদের দেশে রেলের যে অবস্থা, ৭০ বছর আগে চীনের এই অবস্থা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে রেল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা রেলওয়ে রেনোভেট (সংস্কার) করেছেন।
মঙ্গলবার (২১ জুন) সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রেলওয়ে: চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের উদাহরণ টেনে রেলমন্ত্রী বলেন, তারা রেলের সবদিকে অনেক বেশি এগিয়ে গিয়েছে। তাদের চেন্নাইতে এমন কারখানা রয়েছে যেখানে প্রতিদিন ১৬টি পরিপূর্ণ কোচ তৈরি করতে পারে। ১৯৫৫ সালে তারা এই কোচ ফ্যাক্টরি করেছে। লখনৌতেও তাদের কারখানা রয়েছে।
তিনি বলেন, রেলের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল জনবলের সমস্যা। এতদিন রেলের জনবল নিয়োগের বিষয়ে কোনো আইন ছিল না। সম্প্রতি আমরা সেটা সংশোধন করেছি।
সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, হ্যাকাথনের মাধ্যমে রেলওয়ের বিদ্যমান সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান বের করা যাবে। প্রযুক্তির সঙ্গে রেলওয়েকে ইন্টিগ্রেটেড (একীভূত) করার কথা বলেন তিনি। এছাড়া প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান নিয়েই রেলওয়েকে আধুনিক এবং যাত্রীবান্ধব করতে হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
জাতীয় সংসদের রেলপথ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, রেলওয়ের কাজের সুবিধার জন্য কী কী পদ সৃজন করা দরকার, আর কী কী পদ বাদ দেওয়া দরকার সেটা আমাদের বের করতে হবে। রেলের জন্য আলাদা আইসিটি বিভাগ দরকার, এটা ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এছাড়া মানুষ যাতে সস্তায় রেল ভ্রমণ করতে পারে সে ব্যবস্থা রাখার কথাও বলেন এ সংসদ সদস্য।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, সাবেক সচিব সেলিম রেজা প্রমুখ।
নদী বন্দর/এসএফ