1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ত্রাণের অপেক্ষায় বানভাসি মানুষ - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ জুন, ২০২২
  • ৭৯ বার পঠিত

সিলেটে ও সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকার পানি কিছুটা কমলেও দুর্ভোগ কমেনি। বহু বাড়িঘর রাস্তাঘাট এখনো ডুবে আছে। ত্রানের অপেক্ষায় বানভাসী মানুষ। বন্যায় সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। 

এদিকে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। হবিগঞ্জে নতুন করে সদর, বাহুবল, নবীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে।

নেত্রকোনায় বন্যার্তদের জন্য দেওয়া ত্রাণ চুরির অপরাধে মঙ্গলবার খালিয়াজুরীর মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোসা মিয়া এবং উদ্যোক্তা নাসিমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মদনে বানের পানিতে ডুবে হাফিজুর রহমান (৫৫) নামে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। উজান থেকে পানি আসা অব্যাহত থাকায় হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

সিলেটে থেকে হুমায়ূন রশিদ চৌধূরী জানান, সিলেট ও সুনামগঞ্জে বহু বাড়িঘর রাস্তা এখনো পানিতে ডুবে আছে। জলমগ্ন দুতলা-তিনতলা বাড়িতে গাদাগাদি করে এখনো অনেক মানুষ বসবাস করছেন। এছাড়া বাড়ির ছাদ ও আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ ও গবাধি পশু বসবাস করছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও আরও ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন বলে বানভাসী লোকজন মনে করছেন।

অনেকের ঘর ও আশ্রয় শিবিরে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকট রয়েছে। বহু স্থানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ পুনস্থাপিত হয়নি। এদিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ শুরু হলেও চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। এদিকে তাহিরপুরে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে ফেলা যাওয়া ত্রাণ নিতে গিয়ে আহত একজনের মৃত্যু হয় মঙ্গলবার সিলেটের হাসপাতালে। সুনামগঞ্জ শহরের ৬০ ভাগ ও সিলেটের ৪০ ভাগ বাসাবাড়ি এখনো জলমগ্ন।

মঙ্গলবার তেমন বৃষ্টি না হলেও দিনের বেশ কিছু সময় রোদের উষ্ণতায় বানভাসি মানুষ নিজেদের কিছুটা যেন শুকিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। শহরের কিছু বাসা থেকে পানি নামলেও বসবাস করার উপযুক্ত হয়নি। কাথা-বালিশ,তোষক, আসবাবপত্র ডুবে গিয়ে সব তছনছ হয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার অনেকেই বলেছেন, ‘যা কোনদিন ভাবিনি, তাই ঘটেছে।

একতলা সব কটি বাসায় ছিল কোমর বা গলাপানি। একঘন্টার মধ্যে সব ডুবিয়ে দেয়।’ কোম্পানীগঞ্জের স্বচ্ছল এক গৃহস্থ বলেন, ‘গোলায় একশত মণ ধান ছিল, সবই নষ্ট হয়ে গেছে বন্যার পানিতে। এভাবে কত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ ডুবে যায়। একের পর এক।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার তান্ডবে বিশেষ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ২৪ টি উপজেলার অর্ধকোটি মানুষের জান-মালের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে-তা এখুনি নির্ণয় করা কঠিন। পুর্নাঙ্গ সেই হিসাবে যাওয়ার আগে সরকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো মনে করে আগে মানুষ উদ্ধার করা প্রয়োজন ও ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছানো দরকার। শহরের অবস্থাশালী লোকজনও এখন আশ্রয় শিবির বা উঁচু ভবনে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য,ওষুধ ও ত্রাণের অপেক্ষায় রয়েছেন।

সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ চলছে। বানভাসিদের পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিডিআর, পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস ও বিমানবাহিনী। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। তবে সরকারী বেসরকারী ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমটি সমন্বয়ের প্রয়োজন বলে বানভাসি লোকজন মনে করছে। এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হবে বলে আবহাওয়া বিভাগ জনিয়েছে।

২২ জনের মৃত্যু

বন্যায় সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়। অধিপ্তরের পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, এ পর্যন্ত বন্যায় সিলেট বিভাগে ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে সিলেটে ১২ জন, মৌলভীবাজারে তিনজন ও সুনামগঞ্জে পাঁচজন। এছাড়া মঙ্গলবার সকালে সিলেটের জৈন্তাপুরে মা-ছেলের লাশ ভেসে ওঠে।

এর আগে সোমবার পর্যন্ত সিলেটের জেলা প্রশাসক একজনের, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিনজনের ও ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে স্থানীয় সূত্রে আরও কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সত্যতা নিশ্চিত করেনি প্রশাসন।

সিলেট ও সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ বন্যা। দুই জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে পানিতে। সোমবার পর্যন্ত পানিবন্দি ছিলেন অন্তত ৪০ লাখ মানুষ। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট না থাকার কারণে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ফেরার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর তথ্য জানা যাচ্ছে।

এর আগে সোমবার সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানান, পানিতে ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে রবিবার নগরের রায়নগরে নিজ বাসার সামনে মারা গেছেন সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা টিটু চৌধুরী।

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিতদের উদ্ধার তত্পরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আমরা কানাইঘাট থেকে অসুস্থ অবস্থায় সাতজনকে উদ্ধার করেছি। তার মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে মৃত্যুর কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি।

কুড়িগ্রামে তলিয়ে গেছে কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়ক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি,চিলমারী ও রাজিবপুর সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। পানি বাড়তে থাকায় ঘরবাড়িতে থাকতে না পেরে অনেকেই উঁচু সড়ক, বাঁধ ও স্কুলে আশ্রয় নিচ্ছেন। শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কটি বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। মঙ্গলবার বিকেলে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপত্সীমার ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং সেতু পয়েন্ট ধরলা নদীর পানি বিপত্সীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নের দুইশতাধিক চরের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তবে সরকারিভাবে জানানো হচ্ছে ৩৫ হাজার পরিবারের প্রায় দেড়লাখ মানুষ পানিবন্দি। ১০ হাজার ৮৯৪ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বন্যার কারণে জেলায় ২৯৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৩১টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

কিশোরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, উজান থেকে পানি আসা অব্যাহত থাকায় হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সম্পূর্ণ হাওর অধ্যুষিত ইটনা, অষ্টগ্রাম, মিঠাইনসহ জেলার সাত উপজেলার দুই শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। দেড় হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এ সমস্ত এলাকার রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে গেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যাদুর্গত এলাকায় ২৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৩৮টি পরিবারের ১২ সহশ্রাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এর পরিমাণ খুবই কম।

মানিকগঞ্জে পদ্মায় বিলীন স্কুলের চরতলা ভবন

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরাঞ্চলের একমাত্র এমপিওভুক্ত আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনটি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১ টা ৩৩ মিনিটে বিদ্যালয় ভবনটি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে বলে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক দিলীপ রায় জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের একমাত্র এমপিওভুক্ত এ বিদ্যালয়ে চার শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। স্কুলের কাছাকাছি হাতিঘাটা এলাকায় পদ্মার ভাঙনে গত এক সপ্তাহে পূর্ব পাড়ার আশÌয় পÌকল্পের ১০ টি ঘরসহ পাঁচটি বাড়িও পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, স্কুল ভবনটি গতকাল দুপুরে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।

হবিগঞ্জে আরো ১১ ইউনিয়ন প্লাবিত, সড়কের ব্যাপক ক্ষতি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে। নতুন করে হবিগঞ্জ সদর , বাহুবল, নবীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এদিকে বন্যায় জেলার ৩৩৪ কি মি পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের মধ্যে এলজিইডি’র অধীন ৩১০ কি মি এবং সওজ বিভাগের অধীন ২৪.২ কি মি।

সড়কের প্রাথমিক ক্ষতির পরিমান প্রায় ৮০ কোটি টাকা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ওই ৪ উপজেলার ১৬ হাজার ৮৫ পরিবারের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন । তবে বেসরকারি হিসেবে এর সংখ্যা দ্বিগুন। জেলার ১৭৩ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বিভিন্ন আশ্র্র্রয় কেন্দ্রে ১৩ হাজার ২৮৯জন আশ্রয় নিয়েছেন ।

মৌলভীবাজারে বাঁধ সুরক্ষায় আনসার ভি?ডি?পি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, জেলার মনু ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দূপুরের পর থেকে মনু নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বন্যায় জেলায় ৫০ ইউনিয়নের ৫শত গ্রামের ২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্নস্হান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র খুঁজছেন। শহর রক্ষা বাধের সুরক্ষায় আনসার ভিডিপির সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

গাইবান্ধায় ১২৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি গতকাল মঙ্গলবারও বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। গত ২৪ ঘন্টায় ঘাঘট নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সরকারি হিসেবে জেলার চারটি উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়েছে প্রায় ৫৭ হাজার মানুষ। এদিকে মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে পানি ওঠায় গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী চারটি উপজেলার ১২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মদনে পানিতে ডুবে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

নেত্রকোনা প্রতিনিধি ,খালিয়াজুরি ও মদন সংবাদদাতা জানান, নেত্রকোণার মদনে বানের পানিতে ডুবে হাফিজুর রহমান (৫৫) নামে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি মারা যান। হাফিজুর রহমান পৌর সদরের এমদাদপুর গ্রামের আব্দুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে ও উপজেলার বেসরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

এদিকে নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। স্হিতিশীল রয়েছে। এদিকে খালিয়াজুরীতে ধনু এবং বারহাট্টায় কংস নদের পানি এখনো বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বারহাট্টার ইসলামপুরে বন্যার পানির তোড়ে বিধ্বস্ত রেল সেতুর মেরামত কাজ চলছে।

নেত্রকোনা বড় রেল স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক খান মঙ্গলবার জানান, এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলে আরো চার দিন লাগতে পারে। এদিকে নেত্রকোনায় এ পর্যন্ত ৬৫ টি ইউনিয়ন বন্যা প্লাবিত হয়েছে। ২০০ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। খালিয়াজুরীর অবস্থা খুব খারাপ।

বন্যা দুর্গত লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এদিকে সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার কাজ ছাড়াও চিকিত্সা সেবা দিচ্ছেন এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন। বন্যার্তদের জন্য দেওয়া ত্রাণ চুরির অপরাধে মঙ্গলবার খালিয়াজুরীর মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোসা মিয়া এবং উদ্যোক্তা নাসিমকে পুলিশ গেÌফতার করেছে।

মাদারগঞ্জে রাস্তা ভেঙ্গে প্রবেশ করছে পানি

মাদারগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, জামালপুরের মাদারগঞ্জে একটি কাঁচারাস্তার ২ শ মিটার ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে। সোমবার ভোরে এই রাস্তার পৌর এলাকার গাবের গ্রাম অংশটি ভেঙ্গে যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবার অফিস সূত্রে জানা যায়, দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদারগঞ্জ – সারিয়াকান্দি সড়কের গাবেরগ্রাম ব্যাপারীপাড়া থেকে চরশুভগাছা বাদশার বাড়ি পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার মাটির কাজ করা হয়। কাজটি গত মে মাসে শেষ হয়।

নদী বন্দর/এসএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com