টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাইসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। তবে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে লাখেরও বেশি মানুষ।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, বাসাইল, নাগরপুর, কালিহাতী, ভুঞাপুর, গোপালপুর উপজেলার সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমির আউশ, পাট, তিল, বুনা আমন পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার বলেন, বন্যার পানি এক সপ্তাহের মধ্যে নেমে গেলে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হবে। তবে সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে পুরোটাই ক্ষতি হবে। পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙন রোধে যেসব জায়গায় কাজ করা সম্ভব সেসব এলাকায় কাজ করা হচ্ছে।
নদী বন্দর/এসএন