তিনি বলেন,‘আমরা চাই না তারা ড্রাগ (মাদক) নিয়ে নষ্ট হয়ে যাক। বিষয়গুলোর প্রতি পরিবারের সদস্যদের সচেতন হতে হবে। এটা আপনাদের দায়িত্ব। না নিতে পারলে সন্তান কেন জন্ম দিয়েছেন? এই দায়িত্ব পরিবারকে নিতেই হবে।’
সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরের ‘র্যাব সেবা সপ্তাহ’ উপলক্ষে আয়োজিত দরিদ্র মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ১ জানুয়ারী থেকে এই ‘র্যাব সেবা সপ্তাহ’ শুরু করে সংস্থাটি।
আইজিপি বলেন, কলাবাগানের ঘটনাটি দেখেন, সেখানে ধর্ষণ হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি পুর্ণাঙ্গ ক্রাইম (অপরাধ)। কিন্তু দুজনই শিশু।
তিনি বলেন, আমরা যেন আইনের আধুনিকায়ন করতে গিয়ে জটিলতা তৈরি না করি। পত্রিকার পাতা খুললেই কিশোর গ্যাং। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক শিশুদের হেফাজতে নিতে হলে নানা ধরনের নিয়ম রয়েছে। তাদের বিচার শিশু আদালতে করতে হবে। আমাদের দেশে কয়টি শিশু আদালত রয়েছে? শিশুদের ধরে আনলে রাখতে হবে সংশোধনাগারে। কিন্তু সংশোধনাগার কয়টি আছে? এগুলো নেই, তবে কি আমরা কিশোর গ্যাং ও শিশু অপরাধীদের গ্রেফতার করবো না? শিশু আদালত নেই তাতে কি বিচার হবে না? হবে, সব কিছুই করতে হবে। তবে শিশুদের সচেতনতার জন্য পরিবাবকে দায়িত্ব নিতে হবে।
র্যাব সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নদী বন্দর / পিকে