বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়রপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে। যে কোনো সময় আমার জীবন বিপন্ন হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের কবর দেখিয়ে দিয়েছি, আমাকে সেখানে কবর দেবেন। যদি মারা যাই হাশরের ময়দানে দেখা হবে। আমার শেষ কথা হচ্ছে, চামচারা শেখ হাসিনার সব অর্জনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
সোমবার (১১ জানুয়ারি) বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় এসব কথা বলেন কাদের মির্জা।
সে সময় তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে নিয়েছি। তাই তারা একরাম চৌধুরী, ফেনীতে নিজাম হাজারী, নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, জেলা নির্বাচন অফিসার নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। একই সঙ্গে কবিরহাট ও ফেনীতে এক বাড়িতে বসে নির্বাচন বানচাল করার যড়যন্ত্র করছে।’
‘পত্রপত্রিকাগুলো আমার কথা হুবহু না লিখে এডিট করে আমার কথাগুলো বিকৃত করে প্রকাশ করছে। এগুলো প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের মন্ত্রীর নিকট পাঠিয়ে আমার বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছে।’ অভিযোগ করেন কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, ‘ফেনীতে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে পেট্রল ঢেলে নির্মমভাবে গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করে। দুঃখজনক আজও বিচার হয়নি।’
জেলা প্রশাসককে অভিযুক্ত করে কাদের মির্জা বলেন, ‘একজন এমপির নামযুক্ত মাস্ক কীভাবে আপনি পরেন। আপনি তো নিরপেক্ষ নন।’
সংসদ সদস্য একরামুল কবির চৌধুরীকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের এই পৌর মেয়রপ্রার্থী বলেন, ‘নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল কবির চৌধুরী চাকরি বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। সে আমাকে ধমকায়, মেরে ফেলার হুমকিতে ভয় দেখিয়ে কী হবে, আমি ভয় পাই না।’
নদী বন্দর / এমকে