পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা এত অমানবিক নই যে, রোহিঙ্গাদের বিপদে ফেলব। অন্য কেউ তো তাদের নিতে আসেনি, আমরাই তাদের আশ্রয় দিয়েছি। ভাসানচরে কাজ করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ভালো সাড়া পাচ্ছি।’
সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে মারী স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব’ উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
দেশে রোহিঙ্গাদের জন্য চলমান কাজগুলো ক্ষণস্থায়ী জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কুতুপালং এ পাহাড়ধস হয়েছিল। মানুষ মারা গিয়েছিল। আমাদের ভয় সামনের মৌসুমগুলোতে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২২ থেকে ২৩ হাজার পরিবারকে ওখানে (ভাসানচর) স্থানান্তর করব।’
‘কুতুপালং এ কাজ করার সুযোগ ছিল না। তবে মিয়ানমারে তারা মাছ ধরা, কৃষিকাজসহ যে ধরনের কাজ করত সে ধরনের কাজ তারা ভাসানচরে করতে পারবে। এতে সন্ত্রাসী হওয়ার সম্ভাবনা কম’ বলেন মন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা এক হাজার ৬৪২ জনকে ভাসানচরে নিয়ে গেছি। তবে তা অনেক দীর্ঘায়িত হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ওখানে যেতে চাইনি। তারা ভাসানচরকে ভাসমান বলে ইস্যু করেছে। তবে আমরা মঙ্গল চাই বলে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আবদুল মোমেন বলেন, ‘সাড়ে ৩ বছরেও একজন রোহিঙ্গা ফেরত যায়নি। আমরা আশাবাদী তারা যাবে। তারা না গেলে আমাদের বিপদ। অনেক দিন ধরে এত মানুষ থাকলে নানা রকম ষড়যন্ত্র হবে। এদের মধ্যে যদি সন্ত্রাসী তৈরি হয় আমাদের জন্যও ক্ষতিকর মিয়ানমারের জন্যও ক্ষতিকর। এটি ভারত, চীন এবং জাপানও বোঝে।’
করোনা ভ্যাকসিনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের ওপর বিশ্বাস রাখতে চাই। তারা যেদিন ভ্যাকসিন পাবে, আমরাও সেদিন ভ্যাকসিন পাব।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, রিজিওন কমান্ডার মো. ইফতেকুর রহমান, বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নিজামি, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন প্রমুখ।
পাঁচ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে সারাদেশের ১০০ অংশগ্রহণকারী পর্বতারোহণ, নৌবিহার, কায়াকিং, হাইকিং ও ট্রেইল রান, টিম বিল্ডিংসহ বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর অ্যাডভেঞ্চার উৎসব সম্পন্ন হবে।
নদী বন্দর / পিকে