1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
লালমনিরহাটে সানিয়াজান নদীর পানি বেড়ে বন্দি ১২০০ পরিবার - Nadibandar.com
সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২
  • ৮৪ বার পঠিত

ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে সানিয়াজান নদীর পানি বেড়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়েছেন ১২০০ পরিবার। ঘর থেকে বের হতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। অন্যদিকে ফের বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানিও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার ভোর ৬টা থেকে সানিয়াজান নদীর পানি বাড়তে থাকে। ফলে হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া, বড়খাতা, গড্ডিমারী ইউনিয়নে সানিয়াজান নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। অনেক পরিবার রান্না করতে না পেরে শিশু সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়ায় গুচ্ছ গ্রাম যাওয়ার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। গুচ্ছু গ্রামের ৪০টি পরিবার ঘর থেকে বের হতে পারচ্ছেন না। পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য লালচান হোসেন জানান, গতরাত থেকে সানিয়াজান নদীর পানি বাড়ছে। এতে আমার ঘরবাড়িসহ এ ওয়ার্ডে প্রায় চার থেকে ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন জানান, হঠাৎ সানিয়াজান নদীর পানি বেড়ে এলাকার কয়েকশ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে পানিবন্দি পরিবারগুলো ত্রাণ সহায়তা খুবই প্রয়োজন।

পানিবন্দি রমনীগঞ্জ গ্রামের মোজাম্মেল হক (৫৫) জানান, রান্নাঘরে পানি আসায় চুলা জ্বালানোর কোনো ব্যবস্থা নাই। সকাল থেকে বিস্কুট খেয়ে দিন পার করছি। গরু-ছাগল নিয়ে বাঁধের রাস্তায় অবস্থান করছি।

ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, ফকিরপাড়া ইউনিয়নের প্রায় চার ওয়ার্ডে প্রায় ১২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ত্রাণ সহায়তার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদৌলা বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সানিয়াজান নদীর পানি বেড়েছে। তবে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন,উপজেলার পানিবন্দি হয়েছে চারটি ইউনিয়নের লোকজন। তবে কী পরিমাণ লোকজন পানিবন্দি হয়েছে তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পরিবারগুলোর জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে ত্রাণ সহায়তার আবেদন করা হয়েছে। ত্রাণ সহায়তা পেলে দ্রুত পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

নদী বন্দর/এসএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com