ঈদের আগে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
রোববার (৩ জুন) মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে ওনারা (কর্তৃপক্ষ) কাজ করছেন। পদ্মাতে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার ক্যামেরা বসবে, স্পিডগানও বসানো হচ্ছে। এগুলো বসলে তারপর ওনারা সুবিধা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন, কী করা যায়।
ঈদের আগে চালু হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের আগে হওয়া খুব ডিফিকাল্ট, আমার মনে হচ্ছে। ঈদের আগে মনে হয় না।
পদ্মা সেতুতে হাঁটলে আরও কঠোর শাস্তি
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মা ব্রিজে মানুষের হাটার কোননো স্কোপ নেই। কোনো ফুটপাত রাখা হয়নি। এখানে চলাফেরার কোনো সিস্টেমও নেই। নিচের রেলব্রিজে একটা ট্র্যাক রাখা হয়েছে। উপরে একটা সার্ভিস লেন আছে, দুই সাইডে। যখন মেইনটেন্যান্সের কাজ করবে, যারা করবেন তারা এসে তাদের গাড়িটা সাইডে রেখে ওই সার্ভিস লেনে চলাফেরা করতে হবে।
তিনি বলেন, উপরে যদি কেউ যায়, কেউ থামে, এরই মধ্যে পরশুদিন রাতেও আমাকে ফোন করেছে, তিন-চারজনকে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) ধরে নিয়ে গেছে। গাড়ির জরিমানা দিতে পারেনি, এগুলো কিন্তু আরও কঠোরভাবে দেখা হবে।
গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন ২৬ জুন ভোর থেকে সব ধরনের যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতু। এরপর সেতু পার হওয়া যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের উপস্থিতি দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। ওই দিনই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুজন মারাত্মক আহত হন, পরে তারা হাসপাতালে মারা যান। পরে ২৭ জুন থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার।
নদী বন্দর/এসএফ