সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব আগামীকাল শনিবার শেষ হবে। আজ শুক্রবার উল্টো রথযাত্রা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) আয়োজিত আলোচনাসভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সম্প্রীতির বন্ধন শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন।
এটা বাস্তবায়নে সম্প্রীতির বন্ধন শক্তিশালী করতে সবাইকে একতাবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, জগন্নাথদেব মানব কল্যাণে বছরে একবার ধরাধামে নেমে আসেন। মানবসেবার জন্য তিনি যে নির্দেশনা রেখে গেছেন, তা অনুসরণ করলে বিশ্বে কোনো হানাহানি থাকবে না।
সব ধর্মের মূল লক্ষ্য মানবকল্যাণ উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সমাজের বিশৃঙ্খলা ও হানাহানি রোধ করতে হলে নিজের মনের কালিমা দূর করতে হবে। ঈশ্বরের আরাধরা করতে হবে। এ সময় তিনি হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে মানবসেবায় আত্মনিয়োগে ভক্তদের প্রতি আহ্বান জানান।
ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাক সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হলের সাবেক প্রাধক্ষ্য ড. অসীম সরকার, বিশিষ্ট সাংবাদিক বাসুদেব ধর, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল, ইসকনের পরিচালক শুভ নিতাই দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ।
এর আগে উল্টোরথ যাত্রার উদ্বোধন করেন ভারতের মায়াপুর শ্রীধামের শ্রীমৎ ভক্তি বিজয় ভাগবত স্বামী মহারাজ। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে উল্টো রথযাত্রা শুরু হয়ে পলাশী মোড়, গুলিস্তান, মতিঝিল ও ইত্তেফাক মোড় হয়ে স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। এ আনন্দ আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নিরাপত্তার স্বার্থে উল্টো রথযাত্রার শোভাযাত্রার সামনে ও পেছনে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। নানা সাজে সজ্জিত হয়ে ভক্তরা এই যাত্রায় অংশ নেন।
নদী বন্দর/এমকে