খরার কবলে গঙ্গাচড়ার আমন আবাদ। গত ১৫-২০ দিন ধরে বৃষ্টি নেই। তাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানির অভাব দেখা দেওয়ায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে আমন চারা লাগাচ্ছেন।
তারা জানান, গত এক মাস আগেও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। রোপা আমন লাগানোর এখন উপযুক্ত সময়। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। অনেকে বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছেন। পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে সদ্য রোপণকৃত জমি ফেটে যাচ্ছে। যাদের সেচ দেওয়ার সুযোগ নেই, সেসব কৃষক আকাশের দিকে চেয়ে আছেন—কখন বৃষ্টি হয়।
কৃষকরা বলেন, বোরো চাষের মতো আমন মৌসুমে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে তারা সঠিক সময়ে জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা থাকলেও বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখতে পারছেন না কৃষকরা। দিনের তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে। প্রখর রৌদ্রে জমির পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। চাষকৃত জমি ফেটে চৌচির হচ্ছে।
এভাবে সেচ দিয়ে আমন আবাদ করলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। উপজেলার হাবু, বালারঘাট, চেংমারী, চেংমারী মান্দ্রাইন, মৌলভীবাজার, মম্হনা, মর্নেয়া, বেতগাড়ী, বড়বিল ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ চাষকৃত জমি শুকিয়ে গেছে। কেউ কেউ জমিতে শ্যালো কিংবা মোটর দিয়ে সেচ দিয়ে জমিতে চারা লাগানোর কাজ করছে। হাবু গ্রামের কৃষক সোবহান বলেন, চাষকৃত জমি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে পানি সেচ দিতে লাগাতে হচ্ছে।
এ বছর ১৯ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, এখন তাপদহ বেশি। তবে এখনই আমন চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। জমিতে পানি না থাকলে সেচ দিয়ে চারা লাগানোই উত্তম। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে চারার বয়স বেশি হয়ে গেলে ফলন বিপর্যয় ঘটানোর সম্ভাবনা বেশি।
নদী বন্দর/এসএফ