ঈদুল আজহা উদযাপনের পর ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় পাকিস্তানে গত রোববার ও সোমবার পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি ও স্থাপনা, ফসলি জমি। কোনো কোনো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আরও কয়েকদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে প্রবল বৃষ্টির শঙ্কা ও বন্যাদুর্গত এলাকা পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির সিন্ধু, বেলুচিস্তান ও দক্ষিণ পাঞ্জাব প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত করাচিতে ভারি বৃষ্টির কারণে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাণিজ্যিক রাজধানীটিতে মঙ্গলবারে বহু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) ও সিন্ধু পুলিশ বলছে, গত জুলাই থেকে ৪৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বৃষ্টিজনিত কারণে। তার মধ্যে ৩১ জন শুধু করাচিতে। গত ৪ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ২৬ জন শুধু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনই মারা গেছেন করাচিতে। পুলিশ আরও জানায়, ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। এ ছাড়া করাচিতে দেয়াল ধসে মারা গেছেন আরও ৪ জন।
দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার বৃষ্টি থামতে পারে। তবে সতর্ক করেছে যে দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার আবারও বৃষ্টি শুরু হতে পারে এবং চারদিন (রোববার পর্যন্ত) স্থায়ী হতে পারে। সিন্ধু ও বেলুচিস্তানে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিসহ বজ্রপাতের পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
সূত্র: ডন
নদী বন্দর/এসএফ