1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
ঢাকা প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২
  • ৮২ বার পঠিত

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই)। ২০১৯ সালের এই দিনে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয় পার্টি।

এ উপলক্ষে জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ৮টায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মিলনায়তনে হবে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত। বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পরে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।

মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইয়াসির জানান, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, নগরীর দর্শনা মোড় পল্লী নিবাসে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতিহা পাঠ, অসহায়-দুস্থদের মাঝে খাদ্যসহায়তা প্রদান এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া দিনব্যাপী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কোরআন তেলাওয়াত ও বাদ আছর বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। জেলার প্রতিটি পৌরসভা, উপজেলা এবং ইউনিয়নপর্যায়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর শ্যামপুর জুরাইন রেলগেটে এরশাদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন জিএম কাদের। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় স্মরণসভায় উপস্থিত থাকবেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুসহ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা। অনুষ্ঠান শেষে তিন হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় তার নানার বাড়িতে জন্ম নেন। তার পৈতৃক নিবাস অবিভক্ত ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমা শহরে। তার বাবার নাম মৌলভী মকবুল হোসেন। তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনামা আইনজীবী। তার দাদা মৌলভী শাহাদৎ হোসেনও ছিলেন একজন প্রখ্যাত আইনজীবী এবং তিনিই ছিলেন কুচবিহার অঞ্চলের প্রথম মুসলিম আইনজীবী। এরশাদের মায়ের নাম মজিদা খাতুন।

এরশাদ ১৯৪৬ সালে দিনহাটা হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন এবং ১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে রংপুর কারমাইকেল কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে তিনি কারমাইকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বিএ পাস করেন। পরে বাবার ইচ্ছায় তিনি এমএ পড়তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হন।

১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের কোহাট সেনানিবাসে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে তিনি ময়মনসিংহের স্বনামধন্য খান সাহেব উমেদ আলী সাহেবের কন্যা রওশন আরা ডেইজিকে বিয়ে করেন। ১৯৭৯ সালের ৭ নভেম্বর তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি পান। বিচারপতি আবদুস সাত্তার তার মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত ঘোষণা করে সামরিক আইন জারির মাধ্যমে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে সেনাপ্রধান হিসেবে এরশাদ ১৯৮৪ সালের ২৪ মার্চ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন।

১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি তিনি জাতীয় পার্টি গঠন করেন এবং এ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে রাজনীতি এবং সাংগঠনিক যাত্রা শুরু করেন। রাজনৈতিক দল গঠনের পর তিনি দেশে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। ১৯৮৬ সালের ৭ মে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১৫৩ আসনে জয় লাভ করে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়।

১৯৮৬ সালের অক্টোবর মাসে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এরশাদ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর তিনি জাতীয় সংসদে ভাষণ দিয়ে সামরিক আইন তুলে দেন।

উন্নয়ন-সমৃদ্ধি-সংস্কার কর্মসূচিতে দেশ পরিচালনার ইতিহাসে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন এরশাদ। তার দুটি কালজয়ী স্লোগান হচ্ছে ‘৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে’ এবং ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান’। গ্রামের অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য তিনি ১৯৮৬ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকার শেরেবাংলা নগরে বিশাল কৃষক সমাবেশে ‘পল্লীবন্ধু’ উপাধি পান। ৯০ বছর বয়সে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নদী বন্দর/এসএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com