উপকূলবর্তী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাবাটির সাইক্লোন শেল্টার সংলগ্ন উপকূল রক্ষা বাঁধের ৪০ ফুটের মত খোলপেটুয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে রাতেই। ফলে গভীর রাত থেকে দূর্গাবাটি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
খোলপেটুয়া নদের প্রবল জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে দূর্গাবাটি, আড়পাঙ্গাশিয়া ও পোড়াকাটলা গ্রামে। এসব এলাকার বিস্তীর্ণ চিংড়ী ঘের, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা এখন পানির নীচে।
তবে শুক্রবার সকাল থেকে রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও দুপুরের দিকে জোয়ার আসায় নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। জোয়ারের চাপ কমলে রিং বাঁধের কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, উপকূলের এই বাঁধটি অত্যন্ত দূর্বল। প্রায় প্রতিবছর অংশ বিশেষ ভেঙে যায়। এবারও সতর্ক থাকলেও তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বহু মানুষ, মৎস্য ঘের, ফসলী জমি, ঘরবাড়ি এখন পানির নীচে। এছাড়া জোয়ারের পানির চাপে সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধের একাধিক স্থানে দূর্বল হয়ে পড়েছে। জোয়ার স্থায়ী হলে যে কোনো মুহূর্তে বাঁধের অন্যান্য স্থানও ভেঙে আরও বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের জানান, খোলপেটুয়া নদীর চর দেবে যাওয়ার কারণে ৪০ মিটারের মত বাঁধ ধসে পড়েছে। আমরা ১৬০ মিটার রিং বাঁধ দেব। সকাল থেকে বাঁশ নিয়ে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছিল। তবে জোয়ার আসায় কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। পুরো দিনই জোয়ার থাকায় কাজ করার সুযোগ থাকছেনা।
রিং বাঁধ নির্মাণের জন্য ১৫ হাজার জিওব্যাগ ও ১ লাখ সিনথেটিক ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
নদী বন্দর/এসএফ