পিরোজপুরের নাজিরপুরে পাটের দাম বেশি থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরজমিনে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নে দেখা যায়, এখনো অনেক চাষি ভেজানো কাটা পাট গাছ থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছেন। আবার অনেকেই ইতোমধ্যে আঁশ শুকিয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন।
আলাপকালে বিলডুমরিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক ফকির নামের একজন পাটচাষি জানালেন, এবার তার পাটের আবাদ ভালো হয়েছে।
উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বৈঠাকাটা বাজারে শুকনা পাট কেনাবেচা হচ্ছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাট ব্যবসায়ীরা এসে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেশি লাভের আশায় পাট কেনেন। মৌসুমের নতুন পাটের বেচাকেনা এখনো পর্যন্ত জমে ওঠেনি। পাটের বাজার জমে উঠলে চাষিরা ভালো দাম পাওয়ার আশায় দূরের গ্রাম থেকে প্রক্রিয়াজাত করা পাট নিয়ে ছুটে আসবেন।
দেউলবাড়ি ইউনিয়নের পাটচাষি বিপ্লব মজুমদার বলেন, পাট চাষ করে তিন মাসের মধ্য পাট ঘরে তোলা যায়। কম সময়ে, কম পরিশ্রমের ফসল পাট। প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করে ৮ থেকে ১০ মণ পাট উৎপাদন করা যায়।
এবার বাজারে পাটের মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবার বন্যা না হওয়ায় পাটের কোনো ক্ষতি হয়নি। ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় খুশি তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দ্বিগবিজয় হাজরা বলেন, নাজিরপুর উপজেলায় ২৫৫ হেক্টর জমিতে দেশি, তোষা, ম্যাসতা, জে আর ও ৫২৪ জাতের পাটের চাষ হয়েছে। পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার চাষিরা বেশ লাভবান হবেন। এই পাট বিক্রি করে বাড়তি মুনাফা ঘরে তুলতে পারবেন পাটচাষিরা।
নদী বন্দর/এসএফ