কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কৃষিতে অনেক অর্জন রয়েছে। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ভূমি ও পানির ঘাটতি, উন্নত প্রযুক্তির অভাব, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে পিছিয়ে থাকা, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলা, দুর্বল মার্কেট লিঙ্কেজ, কৃষিশ্রমিকের ঘাটতিসহ বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে কৃষিখাত।’
বুধবার (২০ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে কনসালটিভ গ্রুপ ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ ও বাংলাদেশ রিসার্চ পোর্টফোলিও ইন্ট্রোডাকশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ ডায়ালগের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এ চ্যালেঞ্জগুলো আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনা মহামারি সব দেশের জন্যই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এ মহামারি বাংলাদেশের জীবন, জীবিকা এবং কৃষিকে প্রভাবিত করেছে। এ প্রভাব মোকাবিলায় কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ, শ্রমিকের যাতায়াত, অনলাইন বিপণন সুবিধা, স্টিমুলাস প্যাকেজ বাবস্তবায়নসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদসহ সংশ্লিষ্ট সব খাতে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রেজাউল করিম বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের স্বল্পতা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বের কিছু অংশে সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য ও ক্ষুধা বাড়ছে। বিশ্বের অনেক দেশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন। সরবরাহ চেইনে সমস্যা হওয়ায় খাদ্যের দামও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, বেসরকারিখাত, উৎপাদক এবং ভোক্তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন সম্পর্কিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। গবেষণার চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে তা সমাধানে একটি সামগ্রিক পদ্ধতি বের করতে হবে।
নদী বন্দর/এসএফ