পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকার সবসময় শিশুদের জন্য কাজ করছে। ভবিষ্যতেও করে যাবে। দায়বদ্ধতা থেকে শিশুদের জন্য কাজ করছি আমরা। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো শিশুদের জন্য যে কাজ করছে, তা প্রশংসনীয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘৫০ পেরিয়ে শিশুদের বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্রথমা প্রকাশন যৌথভাবে বইটি প্রকাশ করেছে। বইটিতে ৫০ বছরে বাংলাদেশের শিশুদের সার্বিক পরিস্থিতি, বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যতের ভাবনা নিয়ে বিশিষ্টজনদের ১৫টি লেখা সংকলন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-শিশু-পঞ্চাশ শব্দগুলোর সঙ্গে অনেক আবেগ জড়িত। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করেছি। আমাদের সরকারপ্রধানের শিশুদের প্রতি বিশেষ স্নেহ আছে, যা বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রকাশ পায়। আমরা চেষ্টা করছি, শিশুদের জন্য স্কুলে দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য।
অনুষ্ঠানে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন বলেন, যদিও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, বাংলাদেশে শিশুদের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। শিশুদের অধিকার রক্ষায় আমাদের আরও সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বাল্যবিয়ে রোধ, শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রতি আমাদের আরও নজর দিতে হবে।
বইটির সম্পাদনায় ছিলেন শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, লেখক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক ও সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি সেক্টর পরিচালক রিফাত বিন সাত্তার।
অনুষ্ঠানে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিশুদের নিয়ে লেখালেখিতে গবেষণার বিষয়গুলো নিয়ে আসতে হবে। এতে বর্তমান পরিস্থিতি ওঠে আসবে। এখনকার শিশুরা অনেক সচেতন। তাদের জন্যই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
শিশুদের নিয়ে কাজ করতে নিয়ে এলিট ক্যাপচার ও পার্টি ক্যাচরের সম্ভাবনা থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের শিশুদের এ থেকে দূরে রাখতে হবে। আমরা কিশোর গ্যাং চাই না। আমাদের শিশুদের সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখাতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, বইটির লেখকরা, সম্পাদকীয় মণ্ডলী, বিভিন্ন দেশের হাইকমিশন, অ্যাম্বাসির ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিসহ বেসরকারি সেক্টরের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর/এসএস