চলতি মাসেই দেশে আসছে করোনার টিকা। দেশে আসার ১ সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে টিকা প্রয়োগ। তবে টিকা গ্রহণের সময়, অথবা পরে যেকোনও অসুস্থতা, আঘাত বা ক্ষতি হলে, তার দায়ভার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা সরকারের নয় বলে জানিয়েছেন টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য ডা. শামসুল হক।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য ডা. শামসুল হক এ কথা জানান।
ডা. শামসুল হক বলেন, করোনার টিকা নেওয়ার আগে একটি সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। কারণ যাকে আমরা টিকা দিচ্ছি, তার একটা অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। আমরা একটি সম্মতিপত্র তৈরি করেছি। সেখানে রেজিস্ট্রেশন নম্বর, তারিখ, পরিচয়পত্র ও নাম থাকবে।
তিনি জানান, সম্মতিপত্রে লেখা থাকবে, ‘করোনার টিকা সম্পর্কে আমাকে অনলাইনে এবং সামনাসামনি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই টিকা গ্রহণের সময়, অথবা পরে যেকোনও অসুস্থতা, আঘাত বা ক্ষতি হলে, তার দায়ভার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা সরকারের নয়।’
তিনি বলেন, সম্মতিপত্রে আরো লেখা থাকবে– আমি সম্মতি দিচ্ছি যে, টিকা গ্রহণ ও এর প্রভাব সম্পর্কিত তথ্যের প্রয়োজন হলে আমি তা প্রদান করবো। জানা মতে, আমার ওষুধজনিত কোনো অ্যালার্জি নেই।’
এছাড়া টিকাদান পরবর্তী প্রতিবেদন, অথবা গবেষণাপত্র তৈরির বিষয়ে অনুমতি দিলাম। আমি স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে এই টিকার উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হয়ে টিকা গ্রহণে সম্মত আছি– বলেও উল্লেখ করা থাকবে সম্মতিপত্রে।
এই সম্মতিপত্রে উল্লেখ থাকা বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে শামসুল হক বলেন, ‘যদি কারো কোনো সমস্যা থাকে এবং এটি যদি কোনো গ্রহীতা না জানিয়ে থাকেন তবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও তা আমরা বুঝতে পারবো না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রথম পর্যায়ে ৫০ লাখ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হবে। আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিন দেশে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী করোনা ভ্যাকসিনের তিন কোটি বা তারও বেশি ডোজ ক্রয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
নদী বন্দর / এমকে