বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ড্রোনের মাধ্যমে ডিজিটাল জরিপের পাইলটিং পটুয়াখালীতে শুরু হচ্ছে। এসএ জরিপের পর আরএস জরিপ সম্পন্ন না হওয়ায় পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ১৪টি উপজেলা বিডিএস’র জন্য বাছাই করা হয়েছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন মাঠে ডিজিটাল জরিপের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
এসময়ে তিনি বলেন, “প্রচলিত ভূমি জরিপে যেখানে ২০-২৫ বছর লাগে, সেখানে খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ করা সম্ভব হবে। এই জরিপ শুরুর সাথে সাথে খসড়া ম্যাপ তৈরি করে ওয়েবসাইটে দেয়া হবে। জমির মালিক পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে ম্যাপ দেখে জমির পরিমাণ কমবেশি হলে সাথে সাথে আপত্তি দাখিল করতে পারবেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী “ডিজিটাল জরিপে যাবতীয় তথ্য ডিজিটাল ও নির্ভুল হওয়ায় জরিপে স্বচ্ছতা আসবে, মামলা মোকদ্দমা কমে আসবে, সাথে জনগণের ভোগান্তিও কমে আসবে।”
পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়ন থেকে শুরু হবে এই জরিপ।
ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিডিএস ম্যাপে জমির পরিমাণ, আইলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, আকার ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যাবে। ম্যাপটিতে সেন্টিমিটার পর্যায় পর্যন্ত ভূমি পরিমাপের নির্ভুলতা থাকবে।”
সচিব আরও জানান, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার জমি, খাসজমি, রাস্তাঘাট, জলাধার, নদী খাল ইত্যাদি চিহ্নিত করা হবে। ফলে জমির দলিল ও নামজারি করার সময় সরকারি জমি আত্মসাৎ বন্ধ করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুল মান্নান, প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী সামসুর রহমান ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ প্রিন্স।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভূমি মন্ত্রণালয় ১২১২.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ৫ বছর মেয়াদি ডিজিটাল সার্ভে প্রকল্পে স্যাটেলাইট, ড্রোন তথা ইউএভি এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনের সমন্বয়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
নদী বন্দর/এসএস