নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপের নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সড়ক, বাজার প্লাবিত হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বিভ্নি বাড়িতে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেল থেকে শুরু হওয়া জোয়ারে পানিতে এসব এলাকা প্লাবিত হয়। জোয়ারের প্রভাবে হাতিয়ায় নদীর পানি ৩-৪ ফুট বেড়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার অস্বাভাবিক জোয়ার শুরু হলে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে নিঝুদ্বীপের প্রতিটি ওয়ার্ডে। প্রধান সড়কগুলো ৩ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে ওই সড়কে কয়েকটি মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে অনেকে নিঝুমদ্বীপের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যাতায়াত করছেন।
নিঝুমদ্বীপ বিদ্যা নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহিদুর রহমান বলেন, বন্দরকিল্লা, নামার বাজার, ইসলামপুর ও মোল্লা গ্রাম জোয়োরের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বলেন, নিঝুমদ্বীপে প্রাায় ৪০ হাজার লোকের বসবাস। ইউনিয়নটির সাগরের একবারেই কোলঘেঁষে। কিন্তু নেই কোন বেড়িবাঁধ। যার ফলে জোয়ারের সময় চারদিক দিয়ে একসাথে পানি এ ইউনিয়নে প্রবেশ করতে শুরু করে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ণিমা তিথির প্রভাবে জোয়ারের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট উচ্চতায় পানি উঠেছে। আগামী দুই দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর আবার পানি স্বাভাবিক উচ্চতায় ফিরে আসবে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম হোসেন বলেন, পূর্ণিমা তিথির কারণে নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ হওয়ায় নিঝুমদ্বীপ প্লাবিত হযেছে। এছাড়া হাতিয়া রুটে স্পিড বোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। নদী স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্পিড বোট চালু করা হবে না। আমরা খোঁজ রাখছি কোথাও কোনো ক্ষতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদী বন্দর/এআরকে