1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
আমাদের বিচার চাইতেও বাধা দেওয়া হয়েছে - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২
  • ৯২ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সামরিক শাসনামলে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করেছে বাংলাদেশ। এমনকি আমাদের বিচার চাইতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার (১৭ আগস্ট) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মিশেল ব্যাচেলেট।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, বৈঠকে তারা বর্তমান বিশ্ব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং একমত হন যে, মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে সংকট তৈরি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এসময় মিশেল ব্যাচেলেটকে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় সেই হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেছিল।

জোরপূর্বক নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই অধ্যাদেশের কারণে তাদের বিচার চাইতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিল।

এসময় জাতিসংঘের হাইকমিশনার ও দুইবারের চিলির প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, তার পরিবারকেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, যখন তার দেশে একটি অত্যাচারী সরকার ক্ষমতায় ছিল।

মিশেল ব্যাচেলেট জানান, তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে ‘গভীরভাবে আলোড়িত’ হয়েছেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যে তাদের নাগরিক তা মিয়ানমার অস্বীকার করে না। কিন্তু তারা এখনও তাদের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সাড়া দেয়নি।

তিনি বলেন, মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে।

বাংলাদেশ কখনো কারো সঙ্গে যুদ্ধ চায় না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে মিশেল ব্যাচেলেট কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

প্রধানমন্ত্রী জবাবে বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সেই সুযোগের ব্যবস্থা করতে পারেন।

জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘ আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে এবং এ লক্ষ্যে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।

এসময় শেখ হাসিনা জানান, তিনি বিষয়টি জানেন। আর বলেন, বাংলাদেশ কাউকে সন্ত্রাসবাদের জন্য তার মাটি ব্যবহার করতে দেবে না।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে পদ্মা সেতুর কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে অবদান রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ১ দশমিক ৮৭ লাখেরও বেশি পরিবার বিনামূল্যে বাড়ি পেয়েছে। কারণ, সরকার প্রতিটি গৃহহীন এবং ভূমিহীন মানুষকে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই চুক্তির পর ৬২ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে ফিরেছে এবং ১৮শ’ সশস্ত্র ক্যাডার আত্মসমর্পণ করেছে।

এদিকে বৈষম্য দূর করার জন্য বাংলাদেশের এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং কাজের প্রশংসা করেন জাতিসংঘের হাইকমিশনার।

তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

এসময় উভয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, তারা উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়নের ওপর জোর দিয়েছেন।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস উপস্থিত ছিলেন।

নদী বন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com