বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নিখোঁজ ১৩ জেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার থেকে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পরে ট্রলারসহ ১৩ জেলে নিখোঁজ হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে ট্রলারের মাঝি আবদুল বারেক তাঁর বড় ভাই বাবুলকে ফোন করে তাদের অবস্থান জানান।
বারেক মাঝির ভাই মো. বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তাঁর ভাই মোবাইল ফোনে জানায়, তাঁরা ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মহিপুররে চালনায় মাছ ধরার ট্রলারটিসহ ১৩ জনই সুস্থ আছেন।
তারা ট্রলার চালিয়ে এলাকায় আসছেন। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে তাঁরা চরফ্যাশন এসে পৌঁছাতে পারবেন।
বাবুল আরো জানান, গত ১৬ আগস্ট ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের বারেক মাঝির মালিকানাধীন “লামিয়া” নামে মাছ ধরার ট্রলারটি ১৩ জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পরে নিখোঁজ হয়। ট্রলারটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে তারা ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মহিপুরের চালনা এলাকায় চলে যায়।
পরে বুধবার সেখানে বাংলাদেশি একটি ট্রলার দেখতে পেয়ে সেটি দূর থেকে ইসারায় ডাকতে থাকে জেলেরা। ডাকে সারা দিয়ে ওই ট্রলারটি তাঁদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। পরে তাদের সহযোগিতায় ট্রলারটি ঠিক করে চর্যফাশনের উদ্দেশ্যে রওনা করেন বলে জানা গেছে।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন- বারেক মাঝি, আলাউদ্দিন মাঝি, আল-আমিন, দেলওয়ার, আলাউদ্দিন মীর, শাহিন হাওলাদার, আবুল মৃধা, মনির বেপারী, সারোয়ার, ইউসুফ, সফিউল্ল্যাহ, ইব্রাহিম। এদের মধ্যে এক জনের নাম জানা যায়নি।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল নোমান জানান, চরমানিকা ইউনিয়নের ১৩ জন জেলেসহ বারেক মাঝির ট্রলারটির সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি আমাদেরকে নিশ্চিত করেননি। যেহেতু জেলেরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছে অবশ্যই ফিরে আসার জন্য আমরাও সহযোগিতা করব। তবে নিখোঁজ জেলেরা ফিরে আসলে এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসবে।
তিনি আরো জানান, ১৩ জেলের সন্ধান পাওয়া গেলেও এখনও দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
নদী বন্দর/এসএইচ