1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ডিজেলে ভর্তুকির বিষয় বিবেচনা করছে সরকার - Nadibandar.com
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১০৩ বার পঠিত

বোরো মৌসুমে কৃষকদের কথা চিন্তা করে সারের মতো ডিজেলেও ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম না কমলেও আমাদের কিছু একটা করতে হবে, যাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে। বর্তমানে ডিজেলের দাম অনেক বেশি। এতে বোরো মৌসুমে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। আমরা সারে যেমন ভর্তুকি দিই, তেমনি বোরোতেও প্রয়োজনে ডিজেলে ভর্তুকি দেওয়া হবে। সরকার গভীরভাবে বিষয়টি বিবেচনা করছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ‘খাদ্য নিরাপত্তায় ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ে কর্মশালার আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, অনাবৃষ্টির জন্য আমন ধান রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। এখন বৃষ্টির মৌসুম, সাধারণ নিয়মানুযায়ী বৃষ্টি হওয়ার কথা, কিন্তু হচ্ছে না। এটাই আমাদের জন্য কনসার্ন। প্রত্যেকদিনই আমরা ভাবছি বৃষ্টি হবে, কিন্তু হচ্ছে না। বৃষ্টি না হলে হয়তো আমনের উৎপাদন কম হবে।

অন্যদিকে, আমনের টাকা দিয়ে কৃষকরা অনেকসময় বোরোতে বিনিয়োগ করে। সার, ডিজেল কিনে ও সেচ খরচসহ অন্যান্য খরচ মেটায়। কাজেই, বৃষ্টি না হওয়ার জন্য আমন উৎপাদন ব্যাহত হলে কৃষকের ওপর এর প্রভাব পড়বে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্যের জন্য আমরা কারো ওপর নির্ভরশীল হতে চাই না। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম বাড়লে বা বাজার অস্থিতিশীল থাকলে টাকা বা ডলার থাকা সত্ত্বেও খাদ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে না। সেজন্য, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে চাই। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে বর্তমান সরকার।

খাদ্যনিরাপত্তায় ‘টেকসই সেচ ব্যবস্থাপনা’ গড়ে তুলতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ভূ-গর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ পানির টেকসই ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছি। একদিকে সেচকাজে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে কাজ চলছে, বারিড পাইপ (ভূ-গর্ভস্থ পাইপ) ব্যবহার করে সেচ দক্ষতা বাড়ানো হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার নাদরিয়া সিম্পসন। গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) নির্বাহী পরিচালক আবু সালেহ খান।

এসময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশিদসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

নদী বন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com