ভারতের মধ্যপ্রদেশ এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি আরো পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টার দিকে দেশটির দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিলো। এর প্রবাবে বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় এ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীতে ৭৮.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টির কারণে শহর এলাকায় স্থবিরতা নেমে এসেছে।
অনেক এলাকাতেই জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে
বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে জেলার নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে দু’দফা জোয়ারের পানি প্রবেশের ফলে প্লাবিত হচ্ছে জেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম। এছাড়া বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়লে বড় ক্ষতির শংকা করছেন আমন চাষিরা।
জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, নিম্ন চাপের কেন্দ্রস্থল ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
এদিকে শিববাড়িয়া নদীতে গত এক সপ্তাহ ধরে অবস্থানরত সব মাছধরা ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে যেতে নিরুসাহীত করতে মাইকিং করছে নিজামপুর কোষ্টগার্ড।
মাছ ধরা ট্রলারকে সমুদ্রে না যেতে মাইকিং করছে কোস্টগার্ড
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, বৃষ্টির ধারা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
নদী বন্দর/এবি