বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চিকাশি ইউনিয়নের ছোট চাপড়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় ইছামতী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। নদীর গভীর থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি। উপজেলার সুলতান হাটা গ্রামের বালু ব্যবসায়ী ও ড্রেজার মালিক রায়হান আলী বালু উত্তোলন করছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীতে প্লাস্টিকের ড্রাম ও বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে সেখানে ড্রেজার বসানো হয়েছে।
তিনজন শ্রমিক ড্রেজার দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছেন। পাইপ দিয়ে এসব বালু ফেলা হচ্ছে ছোট চাপড়া গ্রামের একটি পুকুরে। এক সপ্তাহ ধরে বালু তোলার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। আরো তিন থেকে চার দিন বালু তোলা হতে পারে বলে জানান তারা।
এদিকে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে তীরবর্তী আবাদি জমি ও বসতভিটা ভাঙনের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে স্থানীয়রা। অবাধে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।
বালু ব্যবসায়ী রায়হান আলী জানান, ছোট চাপড়া গ্রামের হাসেন সরকারের অনুরোধে নদী থেকে বালু তুলে তার পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। এতে নদীভাঙনের কোনো আশঙ্কা নেই। তবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
ধুনট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল আমীন বলেছে, ‘বালু উত্তোলনের বিষয়টি শুনেছি। এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছি। পরীক্ষা শেষ হলে সেখানে অভিযান চালানো হবে। ’
নদী বন্দর/এসএইচ