বোন শেখ রেহানা এবং লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটিশ রানির কফিনে সম্মান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকালে বোন শেখ রেহানা এবং লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমকে সঙ্গে নিয়ে ঐতিহাসিক ওয়েস্টমিনস্টার হলে যান শেখ হাসিনা। পরে রানির মৃত্যুতে খোলা শোক বইতে তিনি সই করেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নসহ বিশ্ব নেতাদের অনেকেই এদিন শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ব্রিটিশ রানির কফিনে।
প্রয়াত ব্রিটিশ রানিকে বর্তমানে ওয়েস্টমিনস্টার হলে শায়িত রাখা হয়েছে। সেখানেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চলছে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব। সোমবার ওয়েস্টমনিস্টার অ্যাবিতে হবে তার শেষকৃত্য।
দীর্ঘ ৭০ বছর ব্রিটিশ সিংহাসনে অসীন থাকার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তিনি ব্রিটেন ছাড়াও আরও ১৪টি রাষ্ট্রের প্রধান এবং বাংলাদেশসহ ৫৬ সদস্যের কমনওয়েলথের প্রধান ছিলেন।
রানির মৃত্যুতে তার সম্মান তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। রানির আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা করা হয়।
তার শেষকৃত্যে অংশ নিতে গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা সেরে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যাবেন।
রানির মৃত্যুতে দুই সপ্তাহের রাজকীয় আনুষ্ঠানিকতা চলছে ব্রিটেনে। বিয়োগান্তক এই আয়োজন ঘিরে সোমবার পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় বিশ্ব নেতা ও রাজনীতিবিদদের নজীরবিহীন এক সমাবেশ দেখা যাবে।
২ হাজার অতিথি, প্রায় ২০০টি দেশ ও অঞ্চলের সরকার প্রধানসহ ৫০০ বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং ৪ হাজার সেবাকর্মী রানির শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। সেইসঙ্গে লন্ডনের হাজারো মানুষ রানিকে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন।
নদী বন্দর/এসএইচ