নদী রক্ষার কার্যক্রম শুধু বিভিন্ন দিবসে সীমাবদ্ধ না রেখে মাঠপর্যায়ে কার্যকর ও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। এজন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
বিশ্ব নদী দিবস-২০২২ উপলক্ষে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থার প্রতি এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫০ বছরে দেশের নদ-নদীর সংখ্যা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকায় থাকা মোট ৩৮৩টি নদীর অনেকগুলোর অবস্থাও সংকটাপন্ন। দূষণ ও ভূমিদস্যুদের আগ্রাসনের পাশাপাশি অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, নগরায়ন, আবাসন এবং সেতু, কালভার্ট ও স্লুইসগেট নির্মাণের ফলে ছোটবড় আরও অনেক নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে। নদ-নদী ও প্রাকৃতিক খাল রক্ষায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে সরকার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করলেও প্রয়োজনীয় জনবল ও অন্যান্য সুবিধা না থাকায় সংস্থাটি যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না।
জাতীয় কমিটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উচ্চ আদালত পৃথক আরেক রায়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে একটি স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার নির্দেশনা দিলেও আদালতের নির্দেশনা কার্যকর হয়নি। সংস্থাটি ২০১৮ সালে নদী রক্ষায় ১২২টি সুপারিশ উত্থাপন করেছিল। কিন্তু অধিকাংশ সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি। তবুও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উদ্যোগে ২৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) সারাদেশে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে বিশ্ব নদী দিবস পালিত হচ্ছে।
জাতীয় কমিটির নেতারা নদী রক্ষার কার্যক্রম শুধু দিবস পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মাঠপর্যায়েও এ বিষয়ে কার্যকর ও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
নদী বন্দর/এসএইচ