দিনাজপুরের হাকিমপুরে কালো ধান (ব্লাক রাইস) চাষে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছে কৃষক আব্দুর রাজ্জাক। রংপুর থেকে ধানের বীজ সংগ্রহ করে এক বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছিলেন তিনি। এখন তার সেই রোপণ করা ধান বাতাসে দোল খাচ্ছে।
এদিকে উপজেলায় প্রথম বারের মতো চাষ হওয়া কালো ধান উৎপাদনে আমনের চেয়ে কম সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর। এছাড়া এই ধান চাষে খরচ আমন ধানের মতো এবং ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার (৫ অক্টোবর) উপজেলার তাঁতিপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, সবুজ আমন ক্ষেতের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাকের কালো ধানের (ব্লাক রাইস) ক্ষেত। আমন ধানের শীষ এখনও বেড় না হলেও কালো ধানের প্রতিটি গাছে শীষ বের হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এই ধান কাটা-মাড়াই শেষে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন কৃষক রাজ্জাক।
কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বোরো আর আমন মিলে প্রায় ৩ বিঘা জমিতে ধান চাষ করি। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে কালো জাতের ধান এক বিঘা জমিতে চাষ করেছি। কালো ধানের দুই কেজি বীজ ধান ২০০ টাকা কেজি দর আমি রংপুর থেকে এনেছি। এই ধান চাষে আমন চাষের মতো খরচ হয়। আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই করে ফসল ঘরে তুলতে পারবো।’
ব্লাক রাইস চাষে আমনের মতোই ফলন পাওয়া যায়।
উপজেলার বোয়ালদাড় গ্রামের কৃষক মোজাফ্ফর রহমান বলেন, ‘কৃষি অফিসের পরামর্শে ৯ শতক জমিতে কালো জাতের ধান চাষ করেছি। গাছে ধানের শীষ বের হয়েছে, ফলনও অনেক ভালো।’
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, ‘উপজেলায় তিন বিঘা জমিতে কৃষকেরা এই কালো ধান (ব্লাক রাইস) চাষ করেছেন। ধানের বাহিরের আবারণ কালো হলেও ভিতরের চাল অনেকটা লালচে রঙের হয়ে থাকে। আমরা কৃষকদের এই ধান চাষ করতে উৎসাহিত করছি। আমনের শীষ না বেড় হলেও কালো জাতের এই ধানের শীষ বেড় হয়ে গেছে। আশা করছি ভালো ফলনের আশায় আগামীতে এই জাতের ধান কৃষকেরা আরও বেশি চাষ করবেন।’
নদী বন্দর/এসএইচ