দেশের উত্তরাঞ্চলে (রংপুর) বৃষ্টি বেড়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও (সিলেট)। রোববারও রংপুর ও সিলেটে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৫ ঘণ্টায় ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগ ছিল বৃষ্টিহীন। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম ৩ মিলিমিটার, খুলনা বিভাগের মধ্যে শুধু চুয়াডাঙ্গায় ৬ মিলিমিটার, বরিশাল বিভাগে পটুয়াখালীতে ৭ ও বরিশালে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির প্রবণতা বেশি ছিল রংপুর ও সিলেট বিভাগে। রংপুরের পঞ্চগড় ছাড়া সব জেলায়ই বৃষ্টি হয়েছে। এসময়ে সবচেয়ে বেশি ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
বৃষ্টি না থাকা, এরসঙ্গে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বেড়েছে ভ্যাপসা গরম। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে বিস্তৃর্ণ অঞ্চলের মানুষ।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল মান্নান জানান, রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এসময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএইচ