নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে গেলে আমরা ভোটার কার্ড দেব। এনআইডি এক জিনিস, ভোটার কার্ড এক জিনিস। ইসি কাজ করে ভোটার তালিকা নিয়ে। এনআইডির ভিত্তিতে সংস্থাটি নির্বাচন করে না।
তারা ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচন করে। ’
আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘এনআইডি সরকারের অধীনে চলে গেলেও ভোটার সার্ভার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা কাউকেই দেওয়ার সুযোগ নেই। এটা ইসির সম্পদ। তবে আমরা তথ্য শেয়ার করতে পারি। এনআইডি স্বরাষ্ট্রে চলে গেলে তারা তথ্য ব্যবহার করতে চাইলে দেওয়া যাবে। ’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এনআইডি চলে গেলে এটার নাম দেব ‘ভোটার আইডি’। ভোটাররা আমাদের কাছ থেকে কার্ড পাবেন। এনআইডি কার্ড হিসেবে তো আমরা বানাইনি। আমরা তো বানিয়েছি ভোটার কার্ড হিসেবে। আমাদের সার্ভার আমাদের কাছেই থাকবে। এ সার্ভার আমরা কারো কাছে হস্তান্তর করব না। এটা নিয়ে যারা বোঝে তারাও বলে, যারা না বোঝে তারাও বলে। ”
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন করে কিনতে না পারলে যা আছে তা দিয়ে যতগুলো আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যায় ততগুলোই করব। পরিকল্পনা কমিশন যদি মনে করে আমাদের প্রস্তাবিত প্রকল্পের আর্থিক সক্ষমতা আছে, তারা যদি মনে করে পারবে তাহলে নতুন করে ইভিএম কেনা হবে। তবে জানুয়ারির মধ্যে এই প্রকল্প পাস হলে আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। ’
গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা বসানো ভোটাধিকার লঙ্ঘন―এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা রাখিনি। কারণ এটা গোপন কক্ষ। কে কোন মার্কায় ভোট দিয়েছেন এটা দ্বিতীয় ব্যক্তির জানার সুযোগ নেই। সিইসি বা কমিশনার, কারো অধিকার নেই এটা জানার। যারা বলেছেন ঠিকই বলেছেন। আমরা গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা রাখিনি। ভোটকেন্দ্রে রেখেছি। ’
তিনি বলেন, ‘গোপন কক্ষে আমাদের কোনো সিসি ক্যামেরা ছিল না। রাখার কোনো সুযোগ নেই। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা যেখানে ছিল সেখানে ছিল। এ ছাড়া ভোটার ব্যতীত আর কেউ ঢুকেছে কি না সেটা দেখেছি। ’
নদী বন্দর/এসএইচ