আবারও মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি বাংলাদেশে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছাড়ছেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড লেমুছড়ি বাহিরমাঠ এলাকায় মিয়ানমারের ছোড়া গুলি এসে পড়ে বলে জানা গেছে।
দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি বাংলাদেশে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাত থেকে ৪৮ ও ৪৯ সীমান্ত পিলারের কাছাকাছি মিয়ানমার সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলি হচ্ছিল। শনিবার সকালের দিকে কিছু সময় বন্ধ থাকার পর দুপুর ১টার দিকে মিয়ানমার সীমান্তে ফের গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড লেমুছড়ি বাহিরমাঠ এলাকায় একটি গুলি এসে পড়েছে। এতে ওই এলাকার মানুষ খুবই আতঙ্কে আছে।
স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই এলাকার বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। এতে অনেকটা স্বস্তিতে ছিলেন তারা। কিন্তু শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয় মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ। এছাড়া মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি নাইক্ষ্যংছড়ির লেমুছড়ি এলাকায় পড়ার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, সদর ইউনিয়নের ভাল্লুক খাইয়া ও দোছড়ি ইউনিয়নের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এছাড়া দোছড়ি ইউপির লেমুছড়ি এলাকায় গোলা এসে পড়ার খবর জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন বলেও জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক মিঠুন সিংহ বলেন, একটি মামলার তদন্ত করতে ভাল্লুক খাইয়া এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে থাকাকালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ