রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার পাদপীঠ। বিশ্ববিদ্যালয় কেবল প্রথাগত জ্ঞান ও শিক্ষা দেয় না, গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞানের ক্ষেত্রও তৈরি করে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চিকিৎসকরা গবেষণাকর্মেও নিযুক্ত থাকেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ‘বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃক চতুর্থবারের মতো ‘বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আবদুল হামিদ বলেন, আমি মনে করি, নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমেই বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি। কারণ প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করা যায়, যা মানব কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চতর গবেষণা এবং দেশের চিকিৎসাসেবায় অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। চিকিৎসা মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম। দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক।
তিনি আরও বলেন, সেই জনপ্রত্যাশা পূরণে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ন্যূনতম ব্যয়ে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা পৌঁছানোর পাশাপাশি মৌলিক গবেষণা কার্যক্রমের পরিধি আরও বিস্তৃত করতে হবে এবং গবেষণালব্ধ ফল মানবকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।
এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
বঙ্গবন্ধু একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে দেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
নদী বন্দর/এসএইচ